১৯৯১ সালের মন্ত্রীদের নামের তালিকা

১৯৯১ সালের মন্ত্রীদের নামের তালিকা

১৯৯০ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের পর বাংলাদেশে নতুনভাবে গণতান্ত্রিক সত্তা জেগে ওঠে। অর্থাৎ ১৯৯০ সালে গণআন্দোলনের মুখে জাতীয় পার্টির প্রেসিডেন্ট হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ পদত্যাগ করলে সকলের সম্মতিতে বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন শুধুমাত্র নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য। বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে যে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয় এবং সেই নির্বাচন কমিশনের দ্বারা পরিচালিত নির্বাচনে তৎকালীন শব্দলিও জোট তথা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল নির্বাচনে জয়লাভ করেন এবং সরকার গঠন করেন।

সেই সময় বাংলাদেশ রাষ্ট্রপতি শাসিত থেকে প্রধানমন্ত্রী শাসিত অর্থাৎ গণতন্ত্রের পুনরায় প্রত্যাবর্তন করেন। এর আগে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন সামরিক শাসক ধারা বাংলাদেশ শাসিত হওয়ার পর 1991 সালে যখন নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করে। তারপরে প্রতিশ্রুতি মোতাবেক বা নির্বাচনে ইশতেহার মোতাবেক বাংলাদেশ গণতন্ত্রের ফিরে আসার যে অঙ্গীকার ছিল তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকার কাজ করে। এবং সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনের মাধ্যমে এটি পুনর প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৭ বছর পর। এবং এই বিলটি সংসদে সরকারি দল এবং বিরোধী দল উভয় মিলে পাস হয়।

এই বেল্টটি উত্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বিলটিতে ৩০৭/ ০ ভোটে পাস হয়। এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পায় ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৯১ সালে। আর এই কারণে ১৯৯১ সালের সরকারের মন্ত্রী এমপিদের অবশ্যই একটি গুরুত্ব রয়েছে। কারণ হিসেবে আমরা দেখতে পাই যে ১৭ বছর পর যেহেতু বাংলাদেশে আবার পুনরায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় এবং একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার ব্যবস্থা পরিবর্তন হয়ে নতুন নেতৃত্বে বেছানায় বাংলাদেশ এর জনগণ। এই কারণে এই সরকারের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের অগাধ বিশ্বাস ছিল।

এবং সেই বিশ্বাসের কারণে সরকার কোন এমপি কে কোন মন্ত্রী পদে বসান এবং তাদের নাম কি তারা কোন দপ্তরে মন্ত্রিত্ব করেছিলেন এবং মন্ত্রী উপমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী এ সকল বিষয়ে বাংলাদেশের জনগণের অবশ্যই একটা আগ্রহ ছিল। এবং এই আগ্রহের কারণেই আমরা দেখতে পাই যে 1991 সালের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি নেতৃত্বে যে সরকার গঠিত হয়েছিল সেই সরকার পূর্বের যে কোন সরকারের চাইতে যেহেতু সমসাময়িক অবস্থায় বেশি এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা পণ্য নির্বাচনে জিতে সরকার গঠন করার কারণে সকলেই সেই সরকারের দিকে তাকিয়ে ছিল।

সরকার কোথায় কি ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে বা কোথায় কি ধরনের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড করছে এর সকল বিষয়েই জনগণ তাদের চেতনতা দিয়ে দেখার চেষ্টা করছিল। কারণ দীর্ঘদিন সেনা শাসনের পর এবং একনায়কতন্ত্রের পর বাংলাদেশ সবে গণতন্ত্রের উদ্ভব হওয়ার কারণে জনগণের চাওয়া একটু বেশিই ছিল। আর এ কারণে আমরা ইদানিংকালের অর্থাৎ বাংলাদেশ যে ৫০ বছর হলো স্বাধীন হয়েছে সেই স্বাধীনতার পরবর্তীতে ১৯৯১ সালের সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির দিকে বেশি তাকানো হয়। আর এই কারণেই আমরা অর্থাৎ সেই সময়কার জনগণ ৯১ সালের যেহেতু প্রথম নতুন সরকার গঠিত হয় তার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে। এবং দীর্ঘদিন না পাওয়ার বেদনা থেকে নতুন সরকারের কাছে তারা একটু বেশি আশা করে থাকে।

এবং এরই কারণ হিসেবে আমরা সেই সময় যে সকল মন্ত্রী এমপি নির্বাচিত হন তাদের কর্মকাণ্ডের প্রতি বাংলার জনগণ একটু বেশি সজাগ দৃষ্টি রাখতে থাকে। তাই আপনারা যারা ১৯৯১ সালের মন্ত্রিসভার এমপি মন্ত্রীদের নামের তালিকা খ্রিস্টান তারা অবশ্যই আমাদের এই পোস্ট থেকে পেয়ে যাবেন। তবে আপনারা অবশ্যই আমাদের এই পোষ্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে এবং মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে যাবেন। তাহলে অবশ্যই আপনারা

আমাদের এই পোস্টটিকে ৯১ সালের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে যে মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছিল তা আমাদের এখান থেকে এখন দেখতে পাবেন। তাহলে আমরা এখন মন্ত্রিসভা থেকে অর্থাৎ খালেদা জিয়ার মন্ত্রিসভা থেকে তাদের বিস্তারিত নাম এবং কে কোন মন্ত্রীর তো পেয়েছিলেন সে সকল সম্পর্কে বিস্তারিত দেখার চেষ্টা করব। তাহলে চলুন দেখা যাক ৯১ সালের মন্ত্রিসভায় মন্ত্রীদের নাম।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *