আফিয়া নামের অর্থ কি
আমাদের আশেপাশে কত রকমের নামের মানুশিনা রয়েছে। কারণ এই পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা নেহাতি কম নয়। এবং প্রাণীর মধ্যে সাধারণতা মানুষেরাই মানুষের নাম রাখে এবং সে নামে তিনি নির্দিষ্ট থাকেন। কিন্তু প্রাণীদের মধ্যে নাম রাখার রেওয়াজ আর অন্য কোন প্রাণীর নেই। তবে মানুষেরাই শখের বশবর্তী হয়ে তাদের প্রিয় পশু পাখির নাম রেখে থাকেন। তবে পশু পাখিদেরা যদি আমরা নাম রেখে দেই তাদের সেই নামের মর্যাদা তারাও রাখে। কারণ পশু অথবা পাখিটি যদি পোষ মানে তাকে সেই নামে ডাকলে সে অবশ্যই সারা দেয় আমাদের কাছে।
আর আমাদের এর উদাহরণ আমরা আমাদের বাস্তব জীবনে অনেকেই দেখেছি। তবে কুকুর হাতে ঘোরা ইত্যাদি যে নামের বিভিন্ন পশুপাখি নিয়ে সিনেমা করা হয়েছে বাংলা হিন্দি ইংরেজি ইত্যাদিতে সেগুলিতে দেখা গেছে যে সেই সকল পশুরা তাদের নামের বিচার করেছে কত সুন্দর ভাবে। তাই যে কোন পশু পাখি কেউ যদি আমরা আমাদের ভালোবাসার স্থল থেকে নাম রেখে দেই তাহলে তারাও আমাদের মানুষের মতোই আচরণ করে এবং জীবন দিয়ে সেই নামের মর্যাদা রক্ষা করতে পারে।
আর এ কারণেই আমাদের নামের এত গুরুত্ব রয়েছে। নামের গুরুত্ব থাকার কারণে বাবা মায়েরা তাদের প্রিয় সন্তানের নাম অবশ্যই সুন্দর একটা নাম বা সুন্দর অর্থের নাম রাখার চেষ্টা করেন। শুধু চেষ্টাই করেন না তারা এই সুন্দর নাম রাখার জন্য প্রয়োজনে অনেক কিছুই করে থাকেন। আমাদের ইসলাম ধর্মে নাম রাখার জন্য বা নামকরণের জন্য আমাদের ইসলামের বিধান অনুযায়ী আকিদা দিতে হয়। এবং আল্লাহর নামে কুরবানী করে সেই আকিদা অনুযায়ী পিতা-মাতা তাদের সন্তানের নামকরণ করে থাকেন।
এবং এ নাম রাখা সম্পর্কেও আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম বলেছেন যে- তোমরা তোমাদের সন্তানদের নাম সুন্দর রাখবে কারণ সেই হাশরের ময়দানে তোমাদের না নিজের নাম এবং পিতার নাম ধরে ডাকা হবে। তাই এদিক থেকে দেখতে গেলে অবশ্যই এটুকুন বলা যায় যে ধর্মীয়ভাবে ও নামের গুরুত্ব রয়েছে। অন্যদিকে আমরা হিন্দু ধর্মের দিকে যদি তাকাই তাহলে দেখা যায় যে একজন মা যখন মা হতে চলেছেন তখন থেকেই তাদের সংস্কার শুরু হয়।
এবং হিন্দু ধর্মের দশমিক সংস্কারের মধ্যে সেই ব্যবস্থাপন থেকে শুরু করে নামকরণ অন্নপ্রাশন ইত্যাদি অনেক অনুষ্ঠান করতে হয় শুধুমাত্র একজন শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার জন্য। এবং তারা তাদের ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন যাতে সেই সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়া পর্যন্ত বা ভূমিষ্ঠ হবার আগেও মাতৃগর্ভে যেমন যেন সুস্থ থাকেন এবং ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরও যেন তিনি পৃথিবীতে ভালো কাজ করতে পারেন। সেই ভালো কাজ করার জন্য তারা তাদের ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন সেই ভূমিষ্ঠ হবার শিশুর জন্য। এবং সে অনুযায়ী তারা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করার মাধ্যমেই একটি নাম স্থির করেন এবং জন্মানোর দর্শন দিনে তারা শিশুর নামকরণ করে থাকেন।
তাই নামকরণ নিয়ে বিভিন্ন ধর্মে বিভিন্ন রকমের সংস্কার রয়েছে। তবে ওই রীতিনীতি গুলি পালন করা হয় অবশ্যই এ কারণে যে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নামের গুরুত্ব রয়েছে। তাহলে আমরা আজকে আফিয়া নামের অর্থ দেখবো। আছি আর সাধারণত মেয়ের নাম হয়ে থাকে। আফিয়া মেয়েদের নাম হিসেবে একটি অত্যন্ত সুন্দর নাম। অনেককেই আমাদের আশেপাশে এই নামের মেয়ে সন্তানদের দেখেছি আমরা সকলেই। তাই আজকে আমরা আছিয়া নামের শব্দটি দেখে থাকবো। আফিয়া নামটিও ইসলামিক একটি নাম।
এটিও আরবি শব্দ থেকে বাংলা ভাষায় প্রবেশ করেছে। আছিয়ার মত আফিয়া নামের অর্থ অর্থাৎ বাংলা অর্থ অত্যন্ত সুন্দর। তাহলে আফিয়া নামের বাংলা অর্থ দেখে নিই। আফিয়া নামের শব্দের অর্থ-
আফিয়া নামটি সাধারণত মেয়েদের নাম রাখা হয়। আফিয়া নামটি সুন্দর একটা নাম। আফিয়া নামের অর্থ উদার, ভাগ্যবান, উপযুক্ত ।