আরহান নামের অর্থ কি
পৃথিবীতে প্রায় 750 কোটি জনগণ। এবং এই সাড়ে সাতশ কোটি জনগণের সাড়ে সাতশ কোটি অধিক নাম রয়েছে। এবং দেখা যাচ্ছে যে এই নামগুলি প্রায় সবই আলাদা। ভাষাগত কারণে নাম গুলি আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। আবার ধর্মীয় কারণে ও বিভিন্ন ধর্মের লোকের বা বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীর দের ভাষা বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। যেহেতু পৃথিবীতে ধর্মেরও অভাব নেই আবার ভাষারও অভাব নেই সেই কারণে দেখা যাচ্ছে যে নামের ভাষাগত দিক ও আলাদা হয়ে থাকে।
ধর্ম এবং ভাষাগত ইত্যাদি আলাদা আলাদা হওয়ার কারণে নামেরও বিভিন্নতা দেখতে পাই আমরা। কারণ বাবা-মা তাদের সন্তানদের নাম রাখার জন্য বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে তার সন্তানের নাম রেখে দেয়। বিভিন্ন দৃষ্টিকোণের মধ্যে থেকে অবশ্যই একটি দৃষ্টিকোণ হলো ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণের কারণে মানুষের ভাষা বা নামের শব্দ বিষয়গুলি অবশ্যই আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। কারণ পৃথিবীতে এটি স্পষ্ট যে যে সকল মানুষ যে ধর্মের অনুসারী তারা সেই ধর্মের বিভিন্ন ধর্মীয় শব্দ গুলি তাদের সন্তানদের নাম হিসেবে রেখে দেয়। সেই বিভিন্ন শব্দগুলি দেখা যাচ্ছে যে তাদের ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয়গুলি তার মধ্যে নিহিত রয়েছে।
তাই মানুষ ভাষাগত হোক আর ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেই হোক সকল দিক বিবেচনা করেই তাদের সন্তানদের নাম যথা প্রযুক্ত অর্থসহ রাখার চেষ্টা করে।কারণ যদি একটি দাম রাখতে হয় তাহলে আমাদের বিভিন্ন দিক বিবেচনা করেই নামগুলি রাখা হয়। অর্থ যদি ভালো না হয় তাহলে নাম রাখাও সফলকাম হয় না। কারণ প্রতিটি নামের যেহেতু অর্থ রয়েছে তাই আমার সন্তানের রাখা নামটির অর্থ যদি খারাপ লাগে সে কারণে আমরা নানা দিক বিবেচনা করে একটি নাম ভালো লাগলেও সেই নামটি রাখা হয় না শুধুমাত্র যদি অর্থ ভালো না হয় সে কারণে।
তাই অর্থসহ অর্থাৎ ভালো অর্থসহ সন্তানের নাম রাখা আমাদের একান্ত কর্তব্য। কারণ নামের অর্থ যদি ভালো না হয় তাহলে সেই শিশুটি বড় হয়ে তার বাবা মার কে দোষারোপ করতে পারে। বাবা মা জেনে শুনে এক এমন খারাপ অর্থ আলাপ নাম আমার কেন রেখেছে। তাই আমাদের উচিত হবে যে শুধু নাম বিবেচনা করে নয় নামের অর্থ সহ অর্থাৎ ভালো অর্থসহ নাম রাখতে হবে শিশুর।
এর জন্য যত বই ঘাটাঘাটি করতে হোক না কেন সেগুলি আমাদের অবশ্যই দেখতে হবে এবং বইগুলি পড়ে তারপরে সন্তানের নাম রাখা উচিত। আবার অনেক সময় আমাদের বাংলাদেশের বাঙালী নামের মধ্যে অনেক ইংরেজি উর্দু আরবি ফারসি ইত্যাদি শব্দগুলি নাম হিসেবে ব্যবহার করতে হয়। তবে এটি অবশ্যই ভালোবাসা থেকেই হয়ে থাকে। কারণ যে কোন ব্যক্তির অবশ্যই ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়া রয়েছে আর এর নাম রাখার ক্ষেত্রে অবশ্যই ব্যক্তির ব্যক্তিগত বিষয়টি প্রতিফলিত হয়। যে ব্যক্তি যে ধরনের বিষয়কে ভালো লাগে ভালবাসে বা যে বিষয়টি যে নামটি যে শব্দটি তার ভালো লাগে সেই শব্দটি তার সন্তানের নাম হিসেবে রেখে দেয়।
এবং সেই বিষয়গুলি অবশ্য অনেক সময় ধর্মীয় বিষয়গুলির প্রতি লক্ষ্য রেখেই তারা সেই নামের বিচার টি করে থাকে। কারণ এক ধর্মের অনুসারী হয়ে সে অন্য ধর্মের অনুসারীদের শব্দে ব্যবহৃত হয় এমন কোন নাম তারা রাখতে চায় না। বা রাখেও না কারণ যে যে জেনারা যে ধর্মের অনুসারী সে ধর্মের নাম গুলোই বা শব্দের নাম গুলি রাখতে পারেন। হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা চেষ্টা করেন যে তাদের দেবদেবীর বা তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ মহাভারত গীতা রামায়ণ থেকে বিভিন্ন শব্দগুলি নিয়ে তার সন্তানদের নাম রাখা হয়।
এতে তার সেই ধর্মের ওপর বিশ্বাস ফুটে ওঠে। আজ আমাদের দেখাতে হবে যে আরহান নামের অর্থ কি? আরহার নামটি অত্যন্ত সুন্দর তবে এটি পুরুষবাচক শব্দ হয় ছেলেদের নাম বেশি ভালো লাগবে। এই নামটি ছেলেদের হয়ে থাকে। আরহান শব্দটিও আরবি শব্দ এবং এর অর্থ হচ্ছে-অধিক বন্ধকদাতা, অধিক স্হির, অনেক স্হায়ী।