আয়াশ নামের অর্থ কি
আমরা জানি যে নাম মানুষকে বড় করে না মানুষই নাম কে বড় করে। কিন্তু তারপরেও আমাদের এ কথা মানতেই হবে যে যদি মানুষের সুন্দর চিন্তা থেকে তার সন্তানকে বড় করে তুলতে চায় তাহলে অবশ্যই সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পূর্বে তার সন্তানের সুন্দর একটা নাম ঠিক করে রাখে। কারণ একথা অস্বীকার্য যে সকল ভাল কাজের জন্য আমাদের ভালো ভালো কাজ কিভাবে করা যাবে পূর্ব শর্তগুলি আমাদের মানতে হবে। আমরা যদি মনে করি একজন শিশুকে তার ভবিষ্যৎ জীবনে ভালোভাবে গড়ে তুলব তাহলে অবশ্যই প্রথমে তার একটি ভালো নাম ঠিক করতে হবে।
যদি ভালো নাম ঠিক করি তাহলে শিশুটির ভবিষ্যৎ জীবনের অর্ধেক ভালো কাজ করা হয়ে গেল বাবা মার জন্য। যদি শিশুর একটি সুন্দর নাম হয় তাহলে শিশু মনের দিক থেকে নিজেকে অনেক ভালো মনে করে বা তার মনের মধ্যে কোন হীনমন্যতা থাকে না। এই কারণে সেই শিশুটি অন্যদের চেয়ে চাইতে অনেক এগিয়ে গেল। অর্থাৎ মানসিক দিক থেকে সে অন্য শিশুদের থেকে অনেকখানি এগিয়ে থাকলো নামের কারণেই।
তবে আমাদের আর একটু খেয়াল রাখতে হবে যে শুধু ভালো নাম হলেই হবে না অবশ্যই সেই নামের আবার একটি ভালো অর্থ যদি না থাকে তাহলেও তারা হীনমন্যতায় ভুগবে। তাই যদি সে হীনমন্যতায় ভোগে তাহলে তার পক্ষে সামনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। এই কারণে আমাদের প্রথম কাজটি করে রাখতে হবে আর সেই কাজটি হলো একটি ভালো নাম। তাই যদি ভালো নাম একটি রাখা যায় তাহলে সেই বাবা-মায়ের জন্য অবশ্যই বড় একটি কাজ করা হয়ে গেল ছেলেকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। তাই আমাদের সন্তানদের নাম রাখার জন্য অবশ্যই ভেবেচিন্তে দেখে শুনে নাম রাখতে হবে। এবং আমাদের দেখতেও হবে যেন অর্থ ভালো হয়। কারণ নামের অর্থ যদি ভালো না লাগে সে ছেলে অবশ্যই ভালোভাবে নিবেনা সেই ব্যাপারটিকে।
তবে নাম বিবেচনার ক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করে থাকি। এই দৃষ্টিকোণ হলো যে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ জাতিগত প্রথা দৃষ্টিকোণ এছাড়াও আরো ছেলে মেয়ে ইত্যাদি বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে সেই নামগুলো রাখা হয়ে থাকে। কখনো চেষ্টা করা হয় ধর্মীয় শব্দগুলি ব্যবহার করে নাম রাখা। আবার চেষ্টা করা হয় যে বাঙালি নাম হবে না অন্য দেশের নাম ইত্যাদি। তবে ভারতীয় সংস্কৃতি অনুযায়ী ভারতীয় সকল হিন্দু মুসলমানরা বাঙালি অথবা ভারতীয় যে ভাষাগুলি রয়েছে সেই ভাষাগুলির নাম রাখতে পারেন। তবে যদি বাবা মায়েরা তারা ইসলামিক নাম খুঁজেন অর্থাৎ ইসলাম ধর্মের অনুসারী হলে অবশ্যই সেটি করবে। ইসলামিক নাম গুলো খুজলে দেখা যাচ্ছে যে বাংলার সাথে অবশ্যই আরবি উর্দু ইত্যাদি ভাষা গুলি চলে আসে। তখন যদি সেই নামগুলি পছন্দ হয় তারা তাহলে সেই নামটি রেখে দিতে পারে তার সন্তানের নাম হিসেবে।
তবে আবার বাইরের যদি ভাষা হয়ে থাকে তাহলে সেই ভাষাগুলোর অর্থ আমাদের অবশ্যই জানতে হয়। তারপরেও যদি আমাদের দেশি ভাষা হয়ে থাকে সেই ভাষার শব্দগুলো প্রত্যেকটি অর্থ রয়েছে এই অর্থগুলো আমাদের খেয়াল করতে হয় যে তাদের সেই রাখা নামের সাথে যে অর্থ রয়েছে সে অর্থটা ঠিক রয়েছে কিনা। যদি অর্থ খারাপ হয় তাহলে সে নাম আমরা রাখার চেষ্টা করি না বা রাখবো না। তাই আমাদের নাম রাখার জন্য অনেক দিকে ভেবেচিন্তে তারপরে একটি শিশুর বা সন্তানের নাম রাখা হয়।
তাই আমরা সকল দিক বিবেচনা করে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পূর্বেই যদি একজন শিশুর বা সন্তানের নাম পছন্দ করে থাকি তাহলে অনেক ভেবে চিন্তে চারিদিক দেখে সেটি করা যেতে পারে। তবে মায়ের গর্ভে শিশুর নাম ঠিক করতে হলে আমাদের দুটি দিক বিবেচনা করতে হয় একটি ছেলে শিশু নামে শিশু এই দিকটি অবশ্যই বিবেচনার সহিত দেখতে হয়। তাহলে চলুন দেখা যাক যে আয়াশ নামের অর্থ কি।
আয়াশ নামের অর্থ হলো – অধিক আরামপ্রিয়, বা অত্যন্ত সুখী জীবন – যাপনকারী।