ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সুন্দর নামের তালিকা
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সুন্দর নাম দেওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা হয়তো ব্যবসা শুরুর দিকে অনেকেই বুঝে উঠতে পারে না। ব্যবসা শুরুর আগে আপনি যে পরিকল্পনাগুলো করে রাখবেন তার সবগুলো সঠিকভাবে কাজে লাগাতে গেলে সব সময় সজাগ থাকতে হবে। ছোট ছোট বিষয়গুলোকেও গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে। এমনও হতে পারে কোন ছোট বিষয়ের জন্যই আপনি হয়তো ঠিকমতো জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারবেন না। আজ আমরা আলোচনা করব কিভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সুন্দর নাম দিয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করা যায়। এছাড়া নতুন একটি ব্যবসা শুরু করার পূর্বে কিভাবে পরিকল্পনা করবেন তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আমরা অনেকেই হয়তো ব্যবসা শুরুর দিকে যেমনভাবে পরিকল্পনা করি শেষের দিকে এসে সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করতে পারি না। সুন্দর পরিকল্পনা করার পর তা যদি কাজে লাগাতে না পারি তবে মাঝপথে ক্ষতিগ্রস্ত হবার সম্ভাবনা থাকে। আমরা নিশ্চয়ই চাইবো না একটি ব্যবসা শুরু করার পর মাঝখানে তা থামিয়ে দিতে। মনের জোর না থাকলে কখনোই কোন কাজে সফল হওয়া সম্ভব নয়। আপনি যদি শুরু থেকে এই দোটানোর মধ্যে থাকেন তবে ব্যবসায় কখনো সফল হতে পারবেন না। সফল হওয়ার জন্য মন অনেক বেশি শক্ত হতে হবে। যেকোনো পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার মত সাহস থাকতে হবে। ব্যবসায় যদি আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যান তবে কিভাবে নতুন ভাবে শুরু করবেন তা যদি বুঝতে না পারেন তবে হয়তো মাঝ পথেই আপনার যাত্রা থেমে যেতে পারে। চলুন দেখে আসি ব্যবসা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনার প্ল্যান কেমন হওয়া উচিত।
আপনি যদি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে না থাকেন তবে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসায় ইনভেস্ট করতে যাবেন না। এখন প্রশ্ন আসতে পারে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা কোনগুলো হতে পারে। ধরুন এমন কোন ব্যবসা যেখানে আপনার ক্ষতি হবার সম্ভাবনা রয়েছে আবার লাভ হবার সম্ভাবনা রয়েছে তখন বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। যদি ক্ষতি হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে তখন সে পথে না এগোনোই ভালো হবে। আপনি হয়তো এই ব্যবসার মাধ্যমে নিজের সর্বস্ব হারাতে পারেন। তাই আপনার মূলধন যদি খুব বেশি না হয় তবে এমন কোন ব্যবসায় ইনভেস্ট করতে যাবেন না যেখানে নিজের সর্বস্ব হারানোর মতো সম্ভাবনা থাকে।
আপনি যদি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে থাকেন এবং আপনার মূলধন যদি যথেষ্ট হয়ে থাকে তবে এ ধরনের ব্যবসায় ইনভেস্ট করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে প্রথম থেকেই টাকা আয় করার চিন্তা মাথা থেকে দূর করতে হবে। আপনি যদি ব্যবসা করতে অনেক বেশি আগ্রহী হয়ে থাকেন তবে প্রথম থেকেই বেশি আয় করার চিন্তা না করে কাস্টমারদের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। কাস্টমারদের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে গেলে কোন কাজ করতে হবে তা নিশ্চয়ই আপনাদের জানা রয়েছে। কাস্টমারদের সাথে সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তুলতে গেলে সব কিছুর আগে প্রোডাক্টের মান ভালো করতে হবে।
আপনি যে প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করছেন তার মান যদি ভালো না হয় তবে কাস্টমাররা কখনোই আপনার প্রোডাক্ট নিতে চাইবে না। আবার জিনিস মানসম্পন্ন হলেও যদি তার দাম অনেক বেশি হয় তবে ক্রেতারা মুখ ফিরিয়ে নেবে। তাই পণ্য হতে হবে মানসম্পন্ন এবং মূল্য হতে হবে ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে। প্রথমদিকে যদি আপনি খুব বেশি লাভ করতে না পারেন তবে তা নিয়ে চিন্তিত হওয়া যাবে না। প্রোডাক্ট এর মান ভালো হলে আস্তে আস্তে আপনার ব্যবসা অনেক বেশি প্রসারিত হবে। দীর্ঘদিন মার্কেটে টিকে থাকার জন্য পণ্যের মান ভালো করতেই হবে। ক্রেতারা যদি আপনাকে বিশ্বাস করতে শুরু করে তবে এক সময় আপনাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না।
ব্যবসার শুরুর দিকে যদি আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ি তবে ব্যবসার প্রতি মনোযোগ দেওয়া অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। নতুন ব্যবসায়ীদের জন্য এই সময় গুলো অনেক চ্যালেঞ্জিং। ঠিক এ কারণেই আমরা আগেই বলেছিলাম অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী না হলে ব্যবসায় আসা যাবে না। আপনি যদি প্রথমেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যান তবে নিজেকে চালানোর মতো ব্যাকআপ থাকতে হবে। বিকল্প উপায় না থাকলে ব্যবসা দাঁড় করানো যায় না। আপনার হাতে বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা থাকতে হবে। প্ল্যান এ যদি ফেল করে তবে প্ল্যান বি এর দিকে আগাতে হবে।
শেষ পর্যন্ত দেখবেন আপনার কোন একটি পরিকল্পনা সফল হবে। ব্যবসায় সফল হওয়ার জন্য মার্কেটিং সম্বন্ধে ভালো ধারণা থাকা প্রয়োজন। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আপনার ব্যবসাকে অনেক বড় করতে পারবেন খুব অল্প সময়ের মধ্যে। আমাদের অনেকেরই হয়তো ডিজিটাল মার্কেটিং সম্বন্ধে ধারণা খুবই কম। ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়টা কি তা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেওয়া দরকার। চলুন দেখে আসি কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি নিজের ব্যবসার প্রসার ঘটাতে পারবেন।
সবকিছুর আগে ডিজিটাল প্লাটফর্ম গুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য সুন্দর একটি নাম পছন্দ করতে পারবেন। অনেকেই প্রশ্ন করেছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য সুন্দর নাম পছন্দ করার জন্য কেন ডিজিটাল প্লাটফর্মে আসতে হবে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে আসতে হবে কারণ আপনি এখান থেকে খুব অল্প সময়ের মধ্যে অসংখ্য নাম সংগ্রহ করতে পারবেন। বইপত্র ঘেটে অথবা পত্র-পত্রিকায় ঘেঁটে আপনি যে নামগুলো সংগ্রহ করবেন তাতে অনেক বেশি সময় ব্যয় হবে। অপরদিকে ফেসবুক অথবা instagram এর মাধ্যমে আপনি যদি সুন্দর নাম সংগ্রহ করার চেষ্টা করেন তবে তুলনামূলক অনেক কম সময়ের মধ্যেই অনেক অনেক নাম পেয়ে যাবেন।
বর্তমান সময়ে যে কোন বিষয়ে তথ্য নেওয়ার জন্য সকলেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাহায্য নিয়ে থাকে। আপনি যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় হয়ে থাকেন তবে এই বিষয়গুলো খুব সহজে বুঝতে পারবেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনার বন্ধুদের থেকে যেকোনো বিষয়ে পরামর্শ নিতে পারেন। তারা নির্দিষ্ট কোন বিষয় অভিজ্ঞ না হলেও সকলেই কিছু না কিছু পরামর্শ আপনাকে দিতে পারবে। ছোট ছোট এই তথ্যগুলো একসময় অনেক বড় হয়ে দাঁড়াবে। তো আপনি ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে যে নাম গুলো সংগ্রহ করলেন সেখান থেকে একটি সুন্দর নাম পছন্দ করার পর সে নাম দিয়ে একটি লোগো তৈরি করে ফেলুন।
লোগো তৈরি করার পর আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট তৈরি করা দরকার যেমন জিমেইল একাউন্ট, ফেসবুক একাউন্ট ইত্যাদি। আপনি চাইলে ফেসবুকে গ্রুপ ও পেজ ও খুলে ফেলতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একাউন্ট গুলো খোলার পর আপনি নিজের ব্যবসা সংক্রান্ত বিভিন্ন পোস্ট করতে পারবেন। আপনাদের সেবা সমূহ কি কি সে বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে পারবেন। গ্রাহকরা আপনাদের কাছ থেকে কোন ধরনের সুযোগ সুবিধা পেতে পারে সে বিষয়গুলো তুলে ধরবেন পোস্টের মধ্যে। এভাবেই আস্তে আস্তে সকলে আপনার ব্যবসা সম্বন্ধে অনেক তথ্য জেনে নিতে পারবে।
বর্তমান সময় মার্কেটের অবস্থা সম্বন্ধে জানতে প্রচুর বই পড়তে হবে। ব্যবসায় সফল হওয়ার জন্য জ্ঞানের পরিধি বাড়ানো দরকার। ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর অনেক বই বাজারে পাওয়া যায়। আপনি নিজে যদি একজন বিজনেস ম্যাগনেট হতে চান তবে প্রতিটি তথ্য আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসায় সফল হবার জন্য সব শ্রেণী ও পেশার মানুষের সাথে সম্পর্ক রাখতে হবে। সকলের চাহিদা সম্বন্ধে জানার চেষ্টা করতে হবে। প্রচার-প্রচারণের জন্য প্রতিটি মাধ্যমকে কাজে লাগাতে হবে। নিশ্চয় বুঝতে পারছেন আপনার পরিকল্পনার প্রথম ধাপের কাজ হল সুন্দর একটি নাম দেওয়া। সুন্দর একটি নাম কিভাবে চয়েস করবেন সে বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করলাম। এখন বাকি কাজটা আপনি নিজেই করে নিতে পারবেন।