বুদ্ধিজীবীদের নামের তালিকা
আপনার নিশ্চয় জানেন আমাদের এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমরা সবসময় গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলগুলো প্রকাশ করে থাকি। যে তথ্যগুলো আপনারা আর কোথাও খুঁজে পাবেন না সে তথ্যগুলো আমাদের কাছে পাবেন। আমরা সব সময় চেষ্টা করে থাকি আপনাদের জন্য নতুন নতুন ও অজানা তথ্য গুলো তুলে ধরতে। সাধারণত কমেন্ট বক্সে আপনাদের কমেন্টগুলো পড়ার পরেই আমরা সব তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করি এবং প্রতিটি তথ্য একের পর এক সাজিয়ে আর্টিকেল লেখা শুরু করি। আমাদের ওয়েবসাইটের অভিজ্ঞ দীর্ঘ সময় নিয়ে কার্যকরী ও যুগোপযোগী লেখাগুলোই আপনাদের জন্য নিয়ে আসে। যাইহোক, আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় হলো বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের নামের তালিকা কিভাবে সংগ্রহ করা যায়।
বুদ্ধিজীবীদের তালিকা সংগ্রহ করা কেন উচিত এবং এ তালিকাটি কোন কোন কাজে লাগতে পারে সে বিষয়ে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে। আজকের আর্টিকেলটি সব বয়সের মানুষ পড়তে পারবেন। আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যেসব আর্টিকেলগুলো প্রকাশ করা হয় তার সবগুলোই আমরা এমনভাবে প্রকাশ করি এবং এমন তথ্য সংযুক্ত করি যেন যেকোনো বয়সের মানুষ এগুলো পড়ে উপকৃত হতে পারে। আপনি যদি মনে করেন প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য জেনে নেওয়া উচিত জ্ঞানের ভান্ডার সমৃদ্ধ করার জন্য তবে প্রতিদিন আমাদের এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
আমরা প্রতিদিন যেসব পোস্টগুলো প্রকাশ করি তার সবগুলো করে ফেলার চেষ্টা করুন। আমার বিশ্বাস আপনি প্রতিনিয়ত এই কাজটি করলে এক সময় দেখবেন আপনি অনেক অজানা তথ্য জানতে পেরেছেন। শুধু নিজের জন্য নয়, নতুন জানা তথ্যগুলো যেন আপনি আরো দশটা মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারেন সে উদ্দেশ্য নিয়েও নিয়মিত পড়া উচিত। আমরা সবাই জানি শিক্ষার কোন বয়স নেই। যেকোনো বয়সে আমরা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি। দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত মানুষ শিক্ষা গ্রহণ করতে থাকে। দিন যত যায়, পৃথিবীকে নতুনভাবে জানতে থাকে প্রতিটি মানুষ। একজন ব্যক্তি কখনোই দাবি করতে পারবে না সে এই পৃথিবীর সমস্ত জ্ঞান অর্জন করেছে।
এই পৃথিবীর সমস্ত জ্ঞান অর্জন করা কোন ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব নয়। হ্যাঁ, নির্দিষ্ট একটি বিষয়ের উপর আমরা অনেক জ্ঞান অর্জন করতে পারি কিন্তু এমনটা দাবি করতে পারি না আমরা ওই বিষয়ে সবকিছু জেনে ফেলেছি। জ্ঞান অর্জন করতে প্রচুর পরিমাণ পরিশ্রম করতে হয়। বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটন থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের আলোচিত ব্যক্তিত্ব ইলন মাস্ক সকলেই জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রচুর পড়াশোনা করেছেন। জ্ঞান অর্জন করতে হলে আপনাকে প্রচুর বই পড়ার অভ্যাস করতে হবে। বই পড়া ছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি উপায় একজন ব্যক্তি জ্ঞান অর্জন করতে পারে। যেমন দর্শনের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব। আপনি যদি দেশ-বিদেশ ঘুরে বিভিন্ন সংস্কৃতি সম্বন্ধে জানতে পারেন তবে এ বিষয়টি আপনাকে অন্য দশ জন মানুষের থেকে অনেক এগিয়ে রাখবে।
এই যে বর্তমানে প্রযুক্তির এত উন্নয়ন, এগুলো কি একদিনে সম্ভব হয়েছে? কখনোই একদিনে সম্ভব হয়নি। বর্তমান সময়ে আমরা কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চলে যেতে পারছি কিন্তু একসময় এমনটা আমরা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি। আমাদের পূর্বপুরুষরা এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যেতেও কয়েক ঘন্টা সময় ব্যয় করতো। সে সময় হয়তো গরুর গাড়ি অথবা ঘোড়ার গাড়ি ছাড়া অন্য কোন যানবাহন ছিল না। বিদ্যুৎ ও মেশিনের আবিষ্কার তখনও হয়নি। অথচ আজ আমরা রকেট এর মাধ্যমে অন্য গ্রহে যেতে পারছি।। এতটা পরিবর্তন ঘটতে পার হয়েছে কয়েক হাজার বছর। বর্তমানে আমরা ইন্টারনেট কানেকশন এর মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যেই সারা পৃথিবীর সমস্ত খবর জেনে ফেলছি। জ্ঞান অর্জন করা এখন অনেক সহজ হয়ে পড়েছে কারণ বইয়ের পড়া গুলো আমরা ইন্টারনেটের মাধ্যমেই পড়ে ফেলতে পারছি। চলুন এখন কথা বলি বুদ্ধিজীবীদের নামের তালিকা আপনি কিভাবে পেতে পারেন।
দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের পরে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছিল। ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস। ১৬ই ডিসেম্বর আসার আগেই অর্থাৎ ১৯৭১ সালে ১৪ই ডিসেম্বর পাকিস্তানিরা জঘন্য একটি কাজ করে গেছে। পাকিস্তানিদের সেই জঘন্য কাজটি হল বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে যাওয়া। ১৪ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি মিলিটারি রা বাংলাদেশের অধ্যাপক, চিকিৎসক, আইনজীবী, বিচারক, লেখক ও সাংবাদিকের মত বড় বড় ব্যক্তিকে নির্মমভাবে হত্যা করে। তারা ভেবেছিল বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করে ফেলবে। তাদের পরিকল্পনা সাময়িকভাবে সফল হয়েছিল তবে পুরোপুরি সফল হয়নি।
পুরোপুরি সফল না হলেও বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে তারা বাংলাদেশকে বেশ কয়েক বছর পিছিয়ে দিয়েছিল। এই যে আজ বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে , যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত না হলে হয়তো আরো অনেক আগেই পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সাথে পাল্লা দিয়ে চলতে পারতো, চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারতো। পাকিস্তানিরা চায়নি বাংলাদেশ খুব সহজে উন্নতির দিকে এগিয়ে যাক। তারা হয়তো আমাদের পিছিয়ে দেওয়ার জন্য ওই কাজগুলো করেছিল কিন্তু বাঙালিরা কি এখন কোন কিছুতে পিছিয়ে আছে? হয়তো আরো অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আমরা উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হব।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্বন্ধে জানা আমাদের সকলের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এই যে সোনার বাংলাদেশ পেয়েছি, এর পেছনে কতটা ত্যাগ রয়েছে তা না জানলে বাঙালি হিসেবে জন্ম যে সার্থক হবে না। আমরা বাঙালি হিসেবে গর্ববোধ করতে পারি যে লড়াই করে এই দেশ পেয়েছি। পৃথিবীর প্রতিটি জাতি কিন্তু এমন গৌরব অর্জন করতে পারে না। আমরা নিজেদের অধিকার আদায় করে নিয়েছি। ১৪ ই ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। ঐদিন বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে নানান আয়োজন করা হয়। ১৪ই ডিসেম্বর শহীদ হওয়া বুদ্ধিজীবীরা আমাদের দেশের কত বড় সম্পদ ছিল তা হয়তো এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা উপলব্ধি করতে পারবে না।
যারা মুক্তিযুদ্ধ খুব কাছে থেকে দেখেছে তারা বলতে পারবে মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহতা কতটা ছিল। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমাদের অনেক কিছু শিক্ষা দেয়। ওই যে প্রথমে জ্ঞান অর্জনের কথা বললাম, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়েও আমরা প্রচুর জ্ঞান অর্জন করতে পারব। আপনারা হয়তো ভাবছেন প্রথমদিকে আমাদের কথাগুলো বড্ড অপ্রাসঙ্গিক হয়েছে, তবে আমার কাছে এমনটা কখনোই মনে হয় না। প্রথমে কথা গুলো বলার কারণ হলো একসময় আমাদের কাছে যথেষ্ট সুযোগ ছিল না বলে আমরা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে পারেনি কিন্তু এখন আমাদের যথেষ্ট সুযোগ থাকা সত্ত্বেও এই বিষয়টির প্রতি আমাদের কোন আগ্রহ নেই। সত্যিই লজ্জা জনক।
এক সময় আমরা সবাই বইমেলায় গিয়েছি অনেক অনেক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বই কিনেছি। শুধুমাত্র বুদ্ধিজীবীদের জীবনী জানার জন্য মোটা মোটা বই পড়েছি। এখনকার সময়ে বই কেনার প্রতি কারো তেমন আগ্রহ দেখা যায় না। যদিও এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা দাবি করতে পারে তারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেকোনো বই পড়ে ফেলতে পারে। কিন্তু তাদের এ দাবির পক্ষে শক্ত যুক্তি কেউই দিতে পারবে না। হ্যাঁ এটা ঠিক ইন্টারনেটের মাধ্যমে বুদ্ধিজীবীদের নামের তালিকা সহ তাদের সংক্ষিপ্ত জীবনী খুঁজে বের করা সম্ভব কিন্তু এ কাজটি করে কতজন?
অনেক খোঁজাখুঁজি করলে হয়তো দু একজনকে পাওয়া যেতে পারে। যেমন আপনি বুদ্ধিজীবীদের নামের তালিকা খোঁজার জন্য আমাদের এই পোস্টটি ভিজিট করছেন। আপনি নিশ্চয়ই আরো অনেক জায়গায় বুদ্ধিজীবীদের নামের তালিকা খোঁজ করেছেন কিন্তু খুঁজে পাননি। অথচ কত সহজেই আপনি এ কাজটি করতে পারবেন। শুধুমাত্র একটি দুটি ক্লিকের মাধ্যমে বুদ্ধিজীবীদের নামের তালিকা সহ তাদের জীবনের অজানা গল্পগুলোও জেনে নিতে পারবেন। আশা করি এখন আর এগুলো খুঁজে পেতে আপনাদের খুব বেশি কষ্ট হবে না। বুদ্ধিজীবীদের নামের তালিকা সংগ্রহ করুন এখনই আর কোন তথ্য জানার থাকলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।