ফ্যাশন হাউজের সুন্দর নামের তালিকা

বর্তমান সময়ের ছেলে মেয়েরা ফ্যাশন ডিজাইনের প্রতি বেশ আগ্রহী হয়ে উঠছে। এক সময় ফ্যাশন ডিজাইন সম্বন্ধে আমাদের দেশের মানুষের খুব বেশি ধারণা ছিল না। দিন দিন ফ্যাশন ডিজাইনের বিভিন্ন অজানা বিষয়গুলো নিয়ে সবাই আলোচনা বাড়িয়ে দিয়েছে এবং নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য আগ্রহী হয়ে উঠেছে। আমাদের দেশে এখন ফ্যাশন ডিজাইনিং এর বেশ কিছু ইনস্টিটিউট তৈরি হয়েছে যেখানে হাতে-কলমে ফ্যাশন ডিজাইনের কোর্স করানো হয়। একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হয়ে আপনি কিভাবে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন তা জেনে নেওয়া উচিত।

ফ্যাশন ডিজাইনিং এর সুবিধা অসুবিধা জেনে নেওয়ার পর আপনি নিজেও হয়তো ফ্যাশন ডিজাইনিং শেখার জন্য আগ্রহী হতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হয়ে আপনি কোন ধরনের কাজগুলো করতে পারবেন এবং কোন ফিল্ডে আপনার চাহিদা সবচেয়ে বেশি হবে। এছাড়াও আপনি নিজে যদি একটি ফ্যাশন হাউস শুরু করতে যান তবে কেমন সমস্যার সম্মুখ ীন হতে পারেন এবং এই সমস্যাগুলো কিভাবে সমাধান করবেন সে নিয়েই থাকছে আজকের আলোচনা।

আমাদের দেশের মানুষের সেরা একসময় সাদামাটা ভাবেই যে কোন অনুষ্ঠানে যেতে পছন্দ করত। বাইরে যাওয়ার জন্য আমরা অন্য কোন পোশাক ব্যবহার করতাম না। সাধারণত বাড়িতে যে ধরনের পোশাক আমরা পরিধান করে থাকি বাইরে যাওয়ার জন্য সে একই রকম পোশাক পছন্দ করতাম। সে সময় ফ্যাশন সম্বন্ধে আমাদের খুব বেশি ধারণা ছিল না। যত দিন যাচ্ছে অন্যান্য ফিল্ডের মতো ফ্যাশনের বিষয়েও আমরা আরো বেশি সচেতন হচ্ছি। ফ্যাশন নিয়ে আমরা আরো বেশি পড়াশোনা করতে পারছি এবং বাস্তব জীবনে কাজে লাগাতে পারছি।

অনেকের ধারণা শুধুমাত্র মেয়েরা হয়তো বেশি আগ্রহী হয় ফ্যাশন ডিজাইন শেখার জন্য। এ ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। একজন ফ্যাশন ডিজাইনের হওয়ার জন্য আপনাকে এর প্রতি আগ্রহী হতে হবে। আবার একজন পেশাদার ফ্যাশন ডিজাইনার না হয়েও আপনাকে ফ্যাশন বিষয়ে অনেক বেশি জ্ঞান রাখতে হবে কারণ আমরা যেন বাস্তব জীবনে এই জ্ঞান প্রয়োগ করতে পারি। এখন আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন ফ্যাশন ডিজাইনিং শেখার পর আমরা কোন কোন ফিল্ডে নিজেদের ক্যারিয়ার করতে পারব।

ফ্যাশন ডিজাইনিং শিখে আপনি সবকিছুর আগে একটি ফ্যাশন হাউজ খুলে ফেলতে পারেন। আপনি যদি একটি ফ্যাশন হাউজ খোলার কথা ভেবে থাকেন তবে সব কিছুর আগে ঠিক করতে হবে এর নাম। নাম ঠিক করার জন্য নিশ্চয়ই আপনাকে প্রফেশনাল ফ্যাশন ডিজাইনের হতে হবে না বরং একটি সুন্দর নাম সিলেক্ট করার দক্ষতা থাকতে হবে। একটি সুন্দর নাম পছন্দ করার জন্য ফ্যাশন বিষয়ক শব্দগুলো জানতে হবে বেশি। কোন শব্দগুলো ব্যবহার করলে বোঝা যাবে যে আপনি ফ্যাশন নিয়ে কাজ করছেন সেই শব্দগুলো নাম হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। ফ্যাশন হাউজ এর জন্য ইংরেজি নাম ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো হবে বলে আমি মনে করি।

আবার আপনি চাইলে বাংলা নাম গুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন। বাংলাদেশের বিখ্যাত ফ্যাশন হাউজ গুলোর নাম লিখে একটু ধারণা নিয়ে নিতে পারেন। এই ধারণা আপনাকে পরবর্তীতে ভালো একটি নাম সিলেক্ট করার ক্ষেত্রে অ্যাডভান্টেজ দিতে পারে। ফ্যাশন হাউস টি এমন একটি জায়গায় করতে হবে যেখানে সব ধরনের শ্রেণী ও পেশার মানুষের আনাগোনা রয়েছে। ভেবে দেখতে হবে কোন ধরনের কাস্টমার আপনার ফ্যাশন হাউসে বেশি আসবে। আপনি যদি মেয়েদের ফ্যাশন নিয়ে কাজ করে থাকেন তবে সেভাবেই নামটি পছন্দ করতে হবে। লক্ষ্য করলে দেখবেন বাংলাদেশের বেশিরভাগ ফ্যাশন হাউজ গুলো রাজধানী কেন্দ্রিক হয়ে থাকে। রাজধানীর মধ্যেই যে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান গড়তে হবে তেমন কোন কথা নেই। আপনি চাইলে অন্যান্য বিভাগীয় শহরগুলোতেও এ ধরনের উদ্যোগ নিতে পারেন। তবে আপনি কতটুকু ধৈর্য ধারণ করতে পারবেন এ বিষয়টি নিজে নিজে কনফার্ম হতে হবে।

একজন ফ্যাশন ডিজাইনার কে অনেক বেশি সৃষ্টিশীল মানুষ হতে হয়। আপনি যদি নতুন নতুন বিষয় নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে না পারেন তবে কাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কাজ করার চেষ্টা করতে হবে এবং সেই কাজগুলো মানুষের সামনে নিয়ে আসতে হবে। এরপর আস্তে আস্তে বুঝতে পারবেন সবাই আপনার কাজটিকে কেমন ভাবে নিচ্ছেন। আমরা নিজেরা যখন কোন কাজ করি তখন নিজের কাছে তা কখনোই পারফেক্ট মনে হয় না। Perfect মনে না হওয়ায় আমরা মাঝপথে কাজ থামিয়ে দেই এবং নতুন আরেকটি কাজ করতে শুরু করি। মাঝপথে কাজ থামিয়ে দেওয়া কখনোই সঠিক সিদ্ধান্ত হতে পারে না।

বরং আপনার করা কাজটি আরো সুন্দর কিভাবে করা যায় সে বিষয়ে সিনিয়রদের পরামর্শ নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। নাম পছন্দ করার ক্ষেত্রেও এ বিষয়টি মাথায় রাখতে পারেন। আপনি কেমন নাম রাখবেন তা অভিজ্ঞ কোন ব্যক্তির কাছ থেকে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করুন। এমন কোন ব্যক্তির সাথে আলোচনা করুন যিনি এর আগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নাম পছন্দ করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছেন। এরকম সিচুয়েশনে আমাদের ভাবতে হবে গ্রাহকরা কোন ধরনের নামগুলো বেশি পছন্দ করবে। একটি নাম নিজের কাছে ভালো লাগছে বলেই সে নামটি চূড়ান্ত করতে হবে এমনটা নয়। ক্রেতারা যে ধরনের নাম সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে সে নামগুলোর মধ্য থেকে যে কোন একটি বেছে নিতে হবে।

কিন্তু ক্রেতারা কোন ধরনের নাম বেশি পছন্দ করে তা বোঝার উপায় কি? এগুলো বুঝতে হলে আপনাকে বেশ কয়েকজন মানুষের সাথে কথা বলতে হবে যারা অনেক ব্র্যান্ডের সাথে জড়িত রয়েছে। যারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পণ্য ব্যবহার করে আসছে কিংবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করে আসছে তাদের পরামর্শ অনেক বেশি কাজে দেবে। এ ধরনের ব্যক্তি গুলোর সাথে কথা বলে তাদের মতামত নোট করে নিতে হবে। এরপর সকল উদ্যোক্তারা একসাথে বসে তাদের মতামত অনুযায়ী একটি সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে হবে।

অনেকেই হয়তো ভেবে থাকেন নাম পছন্দের কাজটি খুবই সহজ হবে। সহজ কাজ ভেবে প্রথম দিকে এটি নিয়ে কেউ খুব বেশি ভাবেন না। পরে যখন এ কাজটি করা অনেক বেশি প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে তখন আর কেউ মতামত দিতে পারেন না। অথচ প্রথম থেকেই কাজটির প্রতি যথেষ্ট দায়িত্বশীল হলে সঠিক সময়ের মধ্যে একটি নাম সিলেক্ট করা খুব কঠিন হতো না। যে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করার সময় প্রতিটি ছোট ছোট কাজকেই গুরুত্ব দিয়ে করার চেষ্টা করতে হবে। এমনটা না হলে ছোট ছোট কাজগুলোই একসময় গলার কাঁটা হয়ে বিঁধতে পারে।

ফ্যাশন হাউজের নাম পছন্দ করার জন্য এ বিষয়ে স্বল্প হলেও ধারণা রাখা দরকার। ধারণা নেওয়ার জন্য আমরা দেশি-বিদেশি ফ্যাশন হাউজ গুলোর নাম গুলো সংগ্রহ করে একটি নোটে লিপিবদ্ধ করতে পারি। এরপর একটি একটি করে নাম দেখে দেখে সবাই মিলে আলোচনা করতে হবে। কোন নামটি কি কারনে দেওয়া হয়েছে এবং আদৌ দেওয়া ঠিক হয়েছে কিনা অথবা অন্য কোন নাম দেওয়া যেত কিনা এ বিষয়ে সকলের মতামত নিতে হবে। এভাবেই ফ্যাশন হাউসের নাম সম্বন্ধে আমাদের ভালো ধারণা তৈরি হবে।

এরপর আমরা নতুন ফ্যাশন হাউসের জন্য বেশ কিছু নাম প্রস্তাব করতে পারব। প্রস্তাবিত নামগুলো থেকে একটি নাম পছন্দ করা মোটেও কঠিন কোন কাজ হবে না। দেশি-বিদেশি ফ্যাশন হাউস গুলোর নাম সংগ্রহ করার জন্য আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাহায্য নিতে পারি। এছাড়া ফ্যাশন হাউজ গুলোর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট কিংবা অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ভিজিট করলেও মন্দ হয় না। আমরা চেষ্টা করব ফ্যাশন হাউস গুলোর নাম ও ঠিকানা তুলে ধরতে। আশা করা যায় বাকি কাজগুলো আপনারা নিজেরা করে নিতে পারবেন।