মেয়েদের পূর্ণাঙ্গ ইসলামিক নাম
একটি ইসলামী মেয়ে তার পূর্ণাঙ্গ ইসলামিক নাম দাঁড়ায় পরিচিত। যেমন ইতিহাসের পাতায় এরকম বিভিন্ন মহীয়সী নারীদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যারা অধিকাংশ রাই মুসলিম এবং তারা নিজেদের পূর্ণাঙ্গ নাম দাঁড়ায় বিখ্যাত। যেমন নারী জগতের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া। বেগম রোকেয়া মহীয়সী নারী। বেগম রোকেয়া নাম ছিল রোকেয়ার পিতৃ প্রদত্ত নাম। পরে বিবাহের পর রোকেয়ার নাম হয়।
“বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন”
বিবাহের পর সংযুক্ত করে বেগম রোকেয়ার নাম হয় বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন। এখানে বেগম রোকেয়ার পূর্ণাঙ্গ নাম হল বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন।
মুসলিম নারীদের সকলেরই একটি পূর্ণাঙ্গ নাম রয়েছে। একটি কন্যা সন্তান জন্মের পর পিতৃ প্রদত্তর নাম দেওয়া হয়। মুসলিম কন্যা সন্তানের অধিকাংশ নামে ইসলামিক নাম হয়ে থাকে। যেমন একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হলে তার একটি আরবি নামের পাশাপাশি সুন্দর একটি ডাকনাম দেওয়া হয়। বাড়িতে সবাই ডাকনামেই আদরের মেয়েকে ডাকে। কিন্তু স্কুল কলেজের মেয়ের ভবিষ্যৎ জীবনে পূর্ণাঙ্গ নামেরই প্রয়োজন হয়। বিবাহের পর অনেকে স্বামীর নাম সংযুক্ত করে নাম কে পূর্ণরূপ দেয়।
তবে অনেকেই বিবাহের পর নাম চেঞ্জ করে না। এটা সম্পূর্ণ একটি মহিলার ব্যক্তিগত ব্যাপার। উদাহরণস্বরূপ পরিবারে একটি কন্যা সন্তানের জন্মের পর আদর করে তার ডাকনাম রাখা হয় মিষ্টি। এবং সুন্দর অর্থসহ একটি ভালো নাম ও রাখা হয়। মেয়েটির পূর্ণাঙ্গ নাম এরকম হয়ে থাকে। যেমন,, মদিনা আক্তার ( মিষ্টি)।
মিষ্টি ডাক নামটি শুনে আমরা অনেকেই বুঝতে পারব না মেয়েটি হিন্দু না মুসলিম। তাই মেয়েটিকে চিনতে পূর্ণাঙ্গ নামের প্রয়োজন রয়েছে। ইসলাম ধর্মে মেয়েদের ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ নামের গুরুত্ব অনেক। পূর্ণাঙ্গ নাম দাঁড়ায় মেয়েদের পিতৃপরিচয় পাওয়া যায়।
জন্মসূত্রে শিশু একটি ডাক নামের সাথে সাথে পূর্ণাঙ্গ নাম পায় এটাই শিশুর মৌলিক অধিকার। ইসলাম ধর্মের নামের আগে এবং পিছে ইসলামীক বিভিন্ন ধরনের শব্দ ব্যবহার করা হয়। যেমন ,,,মোছাম্মদ, হোসেন ,আক্তার, খাতুন ,বেগম ইত্যাদি।
এগুলো প্রচলিত শব্দগুলো ইসলামিক নাম কি পূর্ণতা দেয়।
অনেক মুসলিম পরিবার আছে যারা আরবি নাম পছন্দ করেন না। যারা হাদিস দেখে নাম রাখেন না। অনেক মুসলিম পরিবার রয়েছে যারা তাদের কন্যা সন্তানের জন্য সুন্দর একটি আধুনিক নাম নির্বাচন করেন। উদাহরণস্বরূপ অনেক মুসলিম মেয়েদের নাম অনন্যা হয়ে থাকে। এখন যদি সেই মুসলিম মেয়েটি তার নামের আগে এবং পিছে কিছু না লিখে শুধু অনন্যা লিখে তাহলে আমরা বুঝতে পারবো না মেয়েটি মুসলিম না হিন্দু।
বিশেষ করে ইসলামিক নামের ক্ষেত্রে নামের পূর্ণতা টা খুব বেশি প্রয়োজনীয়।
অনন্যা নামে সেই মেয়েটি যেহেতু মুসলিম সেও তো সে অবশ্যই নামের পিছে অথবা আগে মুসলিম ধর্মে প্রচলিত শব্দগুলো ব্যবহার করবে। অথবা তার পারিবারিক সূত্রের ব্যবহৃত ইসলাম ধর্মে শব্দগুলো ব্যবহৃত করে নামকে পূর্ণতা প্রদান করবে। যেমন মেয়েটির নাম হতে পারে। অনন্যা আক্তার। অথবা মোছা: অনন্যা বেগম। এভাবে ইসলামিক নামের সম্পূর্ণ অংশটাই লিখতে হয়। একটি নাম কে সঠিক এবং সম্পূর্ণভাবে লিখলেই বোঝা যায় সেটা কোন ধর্মের নাম।
ইসলাম ধর্মৈ জন্মগ্রহণ করে আমার নিজেকে ধন্য মনে করব। ইসলাম ধর্মের মেয়ে হিসেবে ইসলাম ধর্মের নাম ব্যবহার করব। ইসলাম ধর্মে ব্যবহৃত সুন্দর সুন্দর শব্দগুলো উল্লেখ করে নিজেদের ইসলামিক নাম কে পূর্ণতা দান করব। নিজেদের সুন্দর ইসলামিক নাম কি আরো সুন্দর করে তুলবো। কারণ আমাদের সমাজ জীবনে মেয়েদের পূর্ণাঙ্গ নামের গুরুত্ব অনেক। মুসলিম হিসেবে আমরা আধুনিক নামের পাশাপাশি আমাদের ধর্মীয় অনুশাসন কি বিসর্জন দিতে পারি না। তাই মুসলিম ধর্মের নাম কে অবহেলা না করে আমরা আমাদের নাম নিয়ে গর্ববোধ করব।
আশা করি আমাদের এই আর্টিকেলে ইসলামিক মেয়েদের নাম এবং ইসলামিক মেয়েদের পূর্ণ নাম সম্পর্কে সকলে জানতে পেরেছেন। ইসলামিক মেয়েদের নাম কেমন হয় ইসলামিক মেয়েদের পূর্ণ নামের গুরুত্ব কতখানি এগুলো প্রশ্ন অনেকের মনে জাগে। আমরা তাই এই অনুচ্ছেদে ইসলামিক মেয়েদের নাম সম্পর্কে সমগ্র আলোচনা করে আপনাদের যথার্থ তথ্যপ্রদানের চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনারা ইসলামিক মেয়েদের নাম সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন। এরকম আরো প্রশ্ন থাকলে আপনারা সেটার উত্তরও খুঁজে নিতে পারেন।