সরকারি প্রতিবন্ধী স্কুলের নামের তালিকা ২০২৩

প্রতিবন্ধী স্কুল খোজার জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাবার পরেও যারা খুঁজেই পাচ্ছিনা তাদের জন্য আমরা গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য নিয়ে এলাম। আপনারা যারা প্রতিবন্ধী স্কুলের তালিকা সংগ্রহ করতে চাইছেন কিন্তু কোনভাবেই প্রতিবন্ধী স্কুলের তালিকা সংগ্রহ করতে পারছেন না অথবা প্রতিবন্ধী স্কুলের তালিকা সংগ্রহ করার কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না তারা আমাদের আজকের আর্টিকেলটি একদম শেষ পর্যন্ত পড়ুন। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানিয়ে দেবো কিভাবে খুব সহজেই সরকারি প্রতিবন্ধী স্কুলের ঠিকানা সংগ্রহ করা যায়। বর্তমান সময়ে যেকোনো তথ্য খুব সহজে সংগ্রহ করা সম্ভব।

আপনি যদি এই সময়ে এসেও তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে না লাগান তবে আপনার জন্য হয়তো কাজটি অনেক কঠিন হবে কিন্তু একটু মাথা খাটালে খুব সহজে যে কোন তথ্য সংগ্রহ করে ফেলতে পারবেন। তো তথ্য সংগ্রহ করার জন্য আমাদের কোন মাধ্যমের সাহায্য নিতে হবে ? চলুন দেখে আসা যাক কিভাবে কাজ করলে খুব সহজেই অসংখ্য সরকারি প্রতিবন্ধী স্কুলের নাম ও ঠিকানা খুঁজে পাবেন। নামও ঠিকানার পাশাপাশি প্রতিবন্ধী স্কুলের মোবাইল নাম্বারে সংগ্রহ করে রাখা উচিত কারণ মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করলে আপনি যেকোনো জায়গায় থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন।

শিক্ষার কোন বয়স নেই। একজন মানুষ যে কোন বয়সে শিক্ষার গ্রহণ করতে পারে। এই পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের শিক্ষা গ্রহণের অধিকার রয়েছে। আপনি যে অবস্থায় থাকেন না কেন , আপনার বংশ পরিচয় যেমনই হোক না কেন, আপনার শরীরের রং যেমনই হোক না কেন শিক্ষা গ্রহণ করতে কোন বাধা নেই। একটা সময় ছিল যখন সমাজের উঁচু শ্রেণীর লোকেরা শুধু হোক শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পেতো। নিচু শ্রেণীর লোকেরা খুব বেশি স্বাবলম্বী না হওয়ার কারণে শিক্ষা গ্রহণ করা তাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না।

শিক্ষা বলতে আমরা এখানে কাগজে-কলমে শিক্ষার কথা বোঝাচ্ছি। অর্থাৎ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সিস্টেমের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। বর্তমান সময়ে শিক্ষা গ্রহণ করা বলতে আমরা স্কুল কলেজে গিয়েই পড়াশোনা করা বুঝে থাকি। সে হিসেবে বলতে গেলে একটা সময় ছিল যখন সমাজের নিচু শ্রেণীর মানুষরা স্কুল কলেজে যাওয়ার সুযোগ পেত না। সুযোগ পেতো না বলতে তাদেরকে সেই সুযোগ দেওয়া হতো না। সে সময় মানুষে মানুষে অনেক ভেদাভেদ ছিল। কিন্তু বর্তমানে এমনটা নেই। সব মানুষ সমান। কোন কিছুই একজন মানুষের শিক্ষা গ্রহণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না।

আমাদের সমাজে যে মানুষগুলো স্বাভাবিক নয় তাদেরকে নিয়ে অনেকেই হাসি ঠাট্টা করে থাকে। এই কাজগুলো একজন মানুষের করা উচিত নয়। আমরা জানি মানুষ সর্বশ্রেষ্ঠ জীব। মানুষের মধ্যে বিবেক রয়েছে, বোধশক্তি রয়েছে। ভালো ও মন্দ বিচার করার মতো ক্ষমতা মানুষের রয়েছে। তাই একজন মানুষ চাইলেই পশুর মত আচরণ করতে পারে না। অথচ আমরা দেখে থাকি কখনো কখনো একজন মানুষ পশুর চেয়েও বেশি নিকৃষ্ট হতে পারে। আমাদের সমাজের পিছিয়ে পড়া সামনে এগিয়ে নিয়ে আসার দায়িত্ব আমাদের সকলের।

সুবিধা বঞ্চিত মানুষ গুলোকে সকলের সামনে আনতে হবে এবং তাদের সুন্দরভাবে বাঁচার সুযোগ করে দিতে হবে। একজন মানুষ কখন কোন অবস্থায় যাবে তা আগে থেকে বলা সম্ভব নয়। ভাগ্য একজন মানুষের অবস্থান রাতারাতি পরিবর্তন করে দিতে পারে। প্রচলিত একটি কথা আছে যা হয়তো আপনারা অনেকেই শুনে থাকবেন, আজ যে রাজা, কাল সে ফকির। অর্থাৎ এক রাতের ব্যবধানেই রাজা ফকির হয়ে যেতে পারে আবার ফকির রাজা হয়ে যেতে পারে। ক্ষমতা ও অর্থের বড়াই করে কোন লাভ নেই, ক্ষমতা ও অর্থ কোনটাই চিরস্থায়ী নয়।

যৌবনে একজন মানুষের যেমন শক্তি সামর্থ্য থাকে বৃদ্ধকালে তা কখনোই থাকে না। এ সহজ বিষয়টি যদি একজন মানুষ অনুধাবন করতে পারে তবে কখনোই অন্য কোন মানুষকে নিয়ে ঠাট্টা করতে পারবে না। নিজেকে অন্যের অবস্থানে রেখে দেখতে হবে। ভাবতে হবে আমার জীবনেও যদি এমন কিছু ঘটে তবে কেমন হবে। যদি এই বিষয়গুলো আমাদের আশেপাশের অনেক মানুষ বুঝতে চায় না। যতক্ষণ তাদের শরীরে শক্তি থাকে পকেটে টাকা থাকে তারা নিজেদের মতো করে জীবন যাপন করতে থাকে।

আশেপাশে কোন মানুষটি কেমন ভাবে দিন কাটাচ্ছে তা ভাবার মত সময় ও তাদের হয় না। অথচ আমরা যদি একটু সাহায্য করি তবে সমাজের পিছিয়ে থাকা মানুষগুলো ভালোভাবে বাঁচতে পারে। আমাদের উচিত সরকারি প্রতিবন্ধী স্কুলের নামের তালিকা সংগ্রহ করে আমাদের আশেপাশে থাকা প্রতিবন্ধী বাচ্চাদের সেই স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেওয়া। প্রতিবন্ধী শিশুদের অভিভাবকরা হয়তো এ বিষয়গুলো নিয়ে খুব বেশি সচেতন নয়। তারা হয়তো তাদের সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার বিষয়ে খুব বেশি আগ্রহী হয় না। একজন প্রতিবন্ধী শিশু যে পড়াশোনা করে একসময় অনেক বড় অবস্থানে যেতে পারে একথা অনেকে বিশ্বাস করতে চায় না।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যদি কোন শিশু বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হয়ে থাকে তবে সে যে একসময় সুস্থ হতে পারে সে বিষয় নিয়ে কেউই ভাবতে চায় না। অথচ কিছুদিন চিকিৎসা করলে অথবা ভালোভাবে যত্ন নিলে খুব সহজেই এদের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া সম্ভব। আমাদের সমাজে এমন অনেক সচেতন মানুষ রয়েছে যারা অনেক চেষ্টা করেও প্রতিবন্ধী বাচ্চাদের স্কুলে ভর্তি করে দিতে পারছে না। এর পেছনে প্রধান কারণ হলো ভালো প্রতিবন্ধী স্কুল খুঁজে না পাওয়া। আশেপাশে অনেক স্কুল হয়তো আছে যেগুলো সরকারি নয়। ওই স্কুলগুলোতে ভর্তি হতে গেলে মোটা অংকের টাকা খরচ করতে হয় তাই প্রতিবন্ধী শিশুদের অভিভাবকরাও এ বিষয়ে পিছুটান নেয়। তবে যাদের আগ্রহ আছে তারা কিভাবে প্রতিবন্ধী স্কুলের খোঁজ পাবেন, কিভাবে সেখানকার সব তথ্য সংগ্রহ করবেন এ বিষয়গুলি আমরা তুলে ধরতে চলেছি আজ।

প্রতিবন্ধী শিশুরা অনেকেই পড়াশোনার প্রতি আগ্রহী থাকলেও শুধুমাত্র সুযোগের অভাবে তারা স্কুলে ভর্তি হতে পারছে না। আসলে আমাদের দেশের প্রতিটি এলাকায় প্রতিবন্ধী স্কুল দেখা যায় না। প্রতিবন্ধী স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য হয়তো তাদের অনেক দূরে কোথাও যেতে হয়। অনেক দূরের গিয়ে স্কুলে যাওয়া আসা করাটা তাদের জন্য অনেক কঠিন হয়ে যায়। এ কারণে অনেকেই পড়াশোনার প্রতি আস্তে আস্তে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। এর সমাধান হল আশেপাশে কোথাও প্রতিবন্ধী স্কুল আছে কিনা তা খুঁজে বের করা।

আবার প্রতিবন্ধী স্কুল থাকলেও তা সরকারী কিনা তাও দেখতে হবে কারণ বেসরকারি প্রতিবন্ধী স্কুলে হয়তো অনেক বেশি খরচ হতে পারে। কিভাবে প্রতিবন্ধী স্কুল খুঁজে পাবেন এবং কিভাবে বুঝবেন এটি সরকারি প্রতিবন্ধী স্কুল এ বিষয়গুলো জানা দরকার। এজন্য আমরা এমন কিছু মানুষের সাহায্য নিতে পারি যারা প্রতিবন্ধীদের বিভিন্ন সংগঠনের সাথে জড়িত। প্রতিটি এলাকাতেই প্রতিবন্ধীদের সংগঠন থাকে। এই সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং তাদের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে কিভাবে একজন প্রতিবন্ধীকে পড়াশোনার সুযোগ করে দেওয়া যায়। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সহায়তা নেওয়া যেতে পারে।

আমাদের ওয়েবসাইটে সব সময় গুরুত্বপূর্ণ এমন লেখাগুলি প্রকাশ করার চেষ্টা করি যা আপনাদের উপকারে আসবে। আমরা সেই লেখাগুলিই দেবার চেষ্টা করি যেগুলো চেয়ে আপনারা কমেন্ট বক্সে অনুরোধ করে থাকেন। সব সময় কোন একটি নির্দিষ্ট তথ্য ও হুবহু দেওয়া সম্ভব হয় না তাই আমরা আপনাদের সেই তথ্যগুলো সংগ্রহ করার উপায় জানিয়ে দেই। বিষয়গুলো এত সহজভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয় যেন যে কেউ একবার দেখলেই কাজটি করতে পারে। আশা করি পরবর্তী লেখাগুলো পেতে নিয়মিত আমাদের সাইটে ভিজিট করবেন।