হোটেলের নামের তালিকা
আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা বাংলাদেশের জনপ্রিয় সব হোটেল গুলোর নামের তালিকা সংযুক্ত করব। বাংলাদেশের নামকরা হোটেল গুলোর তালিকা পাওয়ার আগে আপনার জেনে নেওয়া উচিত এই হোটেলগুলোর তালিকা কেন সংগ্রহ করতে হবে। চলুন দেখে আসি হোটেলের তালিকা নিজের সংগ্রহে রাখলে আপনি কেমন অ্যাডভান্টেজ পেতে পারেন। বর্তমান সময়ে আমাদের সকলকেই এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যেতে হয়। সাধারণত নিজেদের চাকরির কাজে অথবা ব্যবসার কাজে কিংবা চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার জন্য অথবা যেকোনো পাবলিক পরীক্ষা দেওয়ার জন্য হলেও আমাদের সারা বছরে অন্তত একবার নিজ জেলার বাইরে যেতে হয়।
কখনো কখনো দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। যেমন আমাদের অনেকের হোম টাউন রাজশাহী কিন্তু চাকরি অথবা অফিস ব্যবসার কাজে মাঝে মাঝেই চট্টগ্রাম অথবা সিলেটে যেতে হয় আবার যাদের হোমটাউন শিলার অথবা চট্টগ্রামে তাদের অনেককেই ব্যক্তিগত কাজে রংপুর অথবা রাজশাহীতে যেতে হয়। এগুলো ছাড়াও নিয়মিত রাজধানী ঢাকায় যাতায়াত করার মত অনেক মানুষ রয়েছে। যারা প্রথমবার নিজের বাইরে যাচ্ছেন অথবা নতুন কোন শহরে যাচ্ছেন তাদের জন্য সেখানে থাকাটা অনেক চ্যালেঞ্জিং।
যদি নিজের আত্মীয়-স্বজন কেউ থেকে থাকে তবে এ বিষয়টি অনেক সহজ হয়ে যায় কিন্তু পরিচিত কেউ না থাকলে সত্যিই নতুনদের অনেক কষ্ট করতে হয়। আপনার কষ্ট কমে দেওয়ার জন্য আমরা আজকের পোস্টটি নিয়ে এসেছি। আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করব কিভাবে নতুন একটি শহরে গিয়ে ভালো হোটেল সিলেক্ট করবেন এবং সেই হোটেলে নিরাপদে থাকতে পারবেন।
বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা শহরেই বড় বড় কিছু হোটেল রয়েছে যেগুলো মানসম্মত সার্ভিস দিয়ে থাকে। তবে আমাদের অনেকের সামর্থ্য নেই সেই হোটেল গুলোতে রাত কাটানোর। সাধারণত বাইরে গেলে আমরা সবকিছু হিসাব-নিকাশ করেই যাওয়ার চেষ্টা করি। যখন বাইরে আমরা অনেক দামি একটি হোটেলে থাকতে যাব তখন খরচ বাজেটের অনেক বাইরে চলে যেতে পারে। খরচ যেন আমাদের সাধ্যের মধ্যে থাকে তেমনভাবেই হোটেল সিলেক্ট করতে হবে। একটি দামি হোটেলে থাকতে গেলে এক রাতেই আমাদের কয়েক হাজার টাকা খরচ করতে হবে।
সর্বনিম্ন 1000 টাকা তো খরচ করতেই হয়। তাই বেশিরভাগ মানুষ সিদ্ধান্ত নেন মাঝারি মানের কোন হোটেলে রাত কাটানোর। মাঝারি হোটেল গুলোতে আপনি সাধ্যের মধ্যে ভালো সার্ভিস পেতে পারেন। এখানকার পরিবেশ ও বেশ সুন্দর । তবে হোটেলটি নিরাপদ কিনা তা সঠিকভাবে পরখ করে নেওয়া দরকার। যারা কখনো বাইরে গিয়ে হোটেলে রাত্রে যাপন করেননি তারা হয়তো খুব সহজে বুঝতে পারবেন না কোন হোটেলটি সবচেয়ে বেশি নিরাপদ। তাই আমরা চেষ্টা করব আপনাদের জানিয়ে দিতে কিভাবে বুঝবেন আপনি যে হোটেলে থাকতে চলেছেন সেই হোটেলটি আপনার জন্য কতটা পারফেক্ট হতে পারে।
আমরা যখন রাত্রিযাপন করার জন্য একটি হোটেলে যাই তখন হোটেল কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহ করে। এ তথ্যগুলো তারা অত্যন্ত যত্ন করে রেখে দেয় যেন আমাদের কোন বিপদ আপদ হলে এই তথ্যের মাধ্যমে তারা আমাদের পরিচয় সনাক্ত করতে পারে এবং আমাদের সাহায্য করতে পারে। আপনারা লক্ষ্য করলে দেখবেন অনেক হোটেলে এমন তথ্য রাখা হয় না। তারা হয়তো এমন কিছু মানুষকে থাকার জন্য সুযোগ দিয়ে থাকে যারা বিভিন্ন ধরনের অপরাধে জড়িত থাকে। এ ধরনের হোটেল গুলোতে কখনোই উঠবেন না কারণ যেসব হোটেলে অপরাধীরা থাকে সে হোটেল কখনো আপনার জন্য নিরাপদ হতে পারে না।
আপনাকে ব্যবহার করে এরা নানা ধরনের অপকর্ম চালাতে পারে। আপনি যখন নিজ জেলা থেকে অন্য জেলায় যাবেন তখন নিশ্চয়ই বাস অথবা ট্রেনের মাধ্যমে যাবেন। যাওয়ার পর চেষ্টা করবেন শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত কোন হোটেলে যেতে। যেসব হোটেলগুলো শহরের কেন্দ্রে থাকে ওই হোটেল গুলোর আশেপাশে সব সময় মানুষজন চলাফেরা করে। তাছাড়া শহরের জিরো পয়েন্টগুলোতে সব সময় পুলিশ দায়িত্বরত থাকে। তাই এখানে যদি আপনি কোন ধরনের সমস্যা সম্মুখীন হন তবে খুব সহজেই সমাধান করে নিতে পারবেন।
অনেক সময় জার্নি করে যাবার পর রাত হয়ে যায়। রাত হয়ে গেলে খুব দ্রুত একটি হোটেলে ওঠা জরুরী হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে আশেপাশে অনেক লোক আপনাকে তাদের হোটেলে ডাকতে পারে। তারা আপনাকে বিভিন্নভাবে বোঝানোর চেষ্টা করবে তাদের হোটেল কেন সবচেয়ে ভালো। কম খরচে তাদের হোটেলে থাকার সুব্যবস্থা আছে এমন আশ্বাস দিতে পারে। এসব কথায় কান না দিয়ে নিজে যাচাই-বাছাই করে হোটেলে উঠতে হবে। তবে আগে থেকে অভিজ্ঞ কোন ব্যক্তির পরামর্শ নিয়ে যাওয়া উচিত। যদি আপনি নিজে একবার কোনো শহরে থাকার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে তবে পরেরবার থেকে আপনার আর কোন সমস্যা হবার কথা নয়। চলুন এবার দেখে আসি টুরিস্ট স্পট গুলোতে গেলে কিভাবে হোটেল সন্ধান করবেন এবং ভালো হোটেল খুঁজে পাবেন।
বাংলাদেশে যে কয়টি টুরিস্ট স্পট রয়েছে তার মধ্যে কক্সবাজার সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। কক্সবাজারে গেলে আপনাকে সেখানকার প্রতিটি হোটেল সম্বন্ধে স্টাডি করে যেতে হবে। আপনি কেমন হোটেলে থাকবেন তা ডিপেন্ড করবে আপনি কেমন বাজেট নিয়ে ট্যুরে গেছেন তার ওপর। যদি খুব বেশি খরচ করতে না চান তবে একসাথে বেশ কয়েকজন যাওয়ার চেষ্টা করবেন। একা একা ট্যুরে গেলে অনেক বেশি খরচ হবার সম্ভাবনা থাকে। আমরা নিশ্চয়ই চাইবো না অযথা খরচ করে খুব তাড়াতাড়ি টাকা পয়সা শেষ করতে। যতক্ষণ আপনার হাতে পর্যাপ্ত টাকা থাকবে ততক্ষণ ভালো মতো বেড়াতে পারবেন। তাই কক্সবাজার যাওয়ার আগে প্রতিটি হোটেল সম্বন্ধে ভালোভাবে জেনে যাবেন।
কোন হোটেলে কত খরচ হয় এবং তাদের সার্ভিস কেমন তা নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ভেবে একটি রোড ম্যাপ তৈরি করবেন। এরপর যেমন পরিকল্পনা করেছেন তেমনভাবে কাজ করতে হবে। ট্যুরে যাওয়ার আগে আমরা সবচেয়ে বেশি যে ভুলটি করি তা হল হোটেলের নাম্বার গুলো সংগ্রহ করে না রাখা। হোটেলের নাম্বার গুলো আপনার সঙ্গে থাকলে আগে থেকেই ফোন করে জানতে পারবেন হোটেল ফাঁকা আছে কিনা। হোটেল ফাকা থাকলে একদিন আগেই বুকিং দিয়ে রাখতে পারবেন। এক্ষেত্রে কক্সবাজার যাবার পর এক হোটেল থেকে আর এক হোটেলে ঘুরে বেড়াতে হবে না।
সিলেট শহরে বেশ কিছু টুরিস্ট স্পট রয়েছে যেগুলোতে অবসর সময় আপনারা বেড়াতে যেতে পারেন। সিলেটে বেশ কিছু বড় হোটেল রয়েছে। আপনি যদি কম বাজেট নিয়ে সিলেটে বেড়াতে যান তবে কখনোই বড় হোটেলগুলোতে উঠতে যাবেন না। এমন একটি হোটেলে উঠবেন যেখানে খাবার পানি ও বিদ্যুতের সুব্যবস্থা রয়েছে। বিদ্যুতের সুব্যবস্থা থাকলে আলো ও বাতাসের অভাব হবে না। গরমের সময় হলে অবশ্যই বৈদ্যুতিক পাখা ব্যবহার করতে পারবেন। আর যদি বিদ্যুতের সুব্যবস্থা না থাকে তবে সেখানে থাকাটা আপনার জন্য অস্বস্তির হয়ে উঠতে পারে।
আমরা সারা বাংলাদেশের হোটেলগুলোকে বেশ কয়েকটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করব। কোন ক্যাটাগরিতে আপনি কেমন সার্ভিস পেতে পারেন সেগুলো বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হবে। কোন হোটেল গুলোর খরচ কেমন হতে পারে সেগুলো অনেকে জানতে চেয়েছেন তাই আমরা সংগ্রহ করা মাত্রই আপনাদের জন্য হোটেলের খরচ তুলে ধরবো। এগুলোর পাশাপাশি হোটেলের ফোন নম্বরও আপনাদের জন্য অনেক জরুরী কারণ ফোন নাম্বার হাতে থাকলে আগে থেকেই বুকিং দেওয়া সম্ভব হবে। এই সবগুলো তথ্য একসঙ্গে পাওয়া কখনোই সহজ নয়। এগুলো একসাথে পাওয়ার জন্য আপনাদের বেশ কিছুটা সময় ধৈর্য ধরতে হবে। আশা করি গুরুত্বপূর্ণ এই তথ্যগুলো পাওয়ার জন্য আপনারা কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে পারবেন।