ইসলামিক মেয়েদের আইডির নাম
মেয়েদের আইডিতে অধিকাংশ মেয়েরাই নিজেদের আসল নাম দেয় না। মেয়েরা তাদের পছন্দমত দুই তিনটে নাম যোগ করে বড়সড়ো একটি নাম তৈরি করে facebook অথবা instagram একাউন্ট তৈরি করে। তবে হিন্দু মেয়েদের আইডি এবং মুসলিম মেয়েদের আইডি নাম দেখে সমস্ত করা যায়। কারণ কোন ব্যক্তিকে চেনার প্রথম উপায় হল সেই ব্যক্তির নাম।
একটি নাম দিয়েই উপলব্ধি করা যায় ব্যক্তিটি কোন ধর্মের অধিকারী। হিন্দু এবং মুসলিম মেয়েদের এবং ছেলেদের নামের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক পার্থক্য। হিন্দু মেয়েদের অধিকাংশ নাম ছোট এবং দুই তিন অক্ষরের হয়ে থাকে। কিন্তু মুসলিম মেয়েদের আরবি নাম হয় অনেক বড় বড়। অনেক মুসলিম মেয়েদের নাম শুনতে অনেক অদ্ভুত শোনায়।
আমরা গুগলে আমাদের যাবতীয় প্রশ্ন সম্পর্কে সন্ধান করে থাকি। বর্তমানে google নামক অ্যাপ এর আশীর্বাদে মানুষ তার মনের যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর সহজে পেয়ে যায়। যেহেতু গুগলে সার্চ করলে বিশ্বের যেকোনো ধরনের প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়,, সেহেতু কৌতূলে মানুষের মস্তিষ্ক বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের জন্ম দেয়। এবং ইচ্ছামত যে কোন প্রশ্নের উত্তর জানতে চাই।
তাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে আমাদের এই ওয়েবসাইট। আজ আমরা এই আর্টিকেলটিতে মুসলিম মেয়েদের নাম সম্পর্কে আলোচনা করব। নাম সম্পর্কে যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে সন্ধান করে নিতে পারেন। নাম সম্পর্কে এ টু জেড সকল ধরনের উত্তর নিয়ে হাজির হয়েছি আমরা।
অনেক সাধনার জনগণ আছে যারা একটি মেয়ের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে চাই। জানতে চাই যে মেয়েরা সোশ্যাল মিডিয়া ইউজ করে সেসব মেয়েদের ব্যক্তিত্ব কেমন হয়। ইত্যাদি যেকোনো ধরনের প্রশ্ন জানতে চেয়ে থাকে। আমরা আমাদের সাধ্যমত উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করি। অনেক বন্ধুরা জানতে চায় মুসলিম মেয়েদের আইডির নাম কেমন হয়। অনেক মেয়েরা জানতে চাই অমুসলিম মেয়েদের আইডির নাম কেমন হয়। এরকম প্রশ্নের উত্তর আমরা বিভিন্ন সোর্স থেকে সংগ্রহ করে আপনাদের সামনে তালিকাবদ্ধ করে নিয়ে এসেছি।
যেহেতু বাংলাদেশ একটি মুসলিম রাষ্ট্র তাই অধিকাংশ মেয়েদের নামই আরবি নাম। বেশ বড়সড়ো স্যারনেম ইউজ করেন আইডির নামকরণ করা হয়। মুসলিম মেয়েরা আইডির নামের পূর্বে বিভিন্ন ধরনের নাম উল্লেখ করে। যেমন, খাতুন, বেগম, আত্মার, তাবাচ্ছুম, ইত্যাদি নামের আগে যুক্ত করা হয়। এগুলো থেকে খুব সহজেই চিহ্নিত করা যায় যে এটা মুসলিম মেয়েদের আইডির নাম।
উদাহরণস্বরূপ আপনাদের সামনে আমরা কিছু মুসলিম মেয়েদের আইডির নাম উল্লেখ করতে পারি। চলুন দেখে নিন বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত কিছু মুসলিম মেয়েদের আইডির নাম।
যেমন,,,,,
সুমাইয়া আক্তার ( মাহি)
মুহুরুন্নেসা ( মিষ্টি)
এলেক্স সাদিয়া আক্তার ( সোনিয়া)
ইলিজা উম্মে দিশারী
উম্মে সালমা (সহি)
মিম খাতুন (মাহি)
মোহনা আক্তার (মিষ্টি)
জিনাত আরা (কুইন)
ফেরদৌস আরা ( নাইস)
এঞ্জেল প্রিয়া আক্তার
সুমাইয়া তাবাসসুম ইরা
নুরনাহার জাহান (নূরানী)
আকলিমা তাবাচ্ছুম (কলি)
সুরাইয়া বেগম (সুমি)
উম্মে হাসিনা আক্তার ( হ্যাপি)
রেহানারা আক্তার (রুহি)
তুবা ইসলাম তুহিন
এই সকল নাম দেখলে সহজে বোঝা যায় যে একটি মুসলিম মেয়ের আইডি। মুসলিম মেয়েরা নামের আগে এবং পেছনে এমন কিছু শব্দ ব্যবহার করে যেটা দ্বারা খুব সহজেই বোঝা যায় এটি একটি মুসলিম মেয়েদের আইডি।
উদাহরণস্বরূপ হিন্দু মেয়েদের নামের আগে এবং পেছনে কখনোই বেগম ,আক্তার, খাতুন, ইসলাম ,উম্মে ,তাবছুম ইত্যাদি এসব বসানো হয় না। মুসলিম মেয়েদের আইডি চেনার আরেকটি উপায় হল মুসলিম মেয়েরা একটি নিক নামের সাথে সাথে বড় একটি আরবি নাম যুক্ত করে।
সকল মেয়েদেরই একটি বড় আইডি র নাম দেখেই বোঝা যায় যে এটি মুসলিম মেয়েদের আইডি। মুসলিম মেয়েদের একটি আরবি নাম থাকে। কিন্তু আরবি নাম উচ্চারণের ক্ষেত্রে খুব একটা সহজ হয় না। তাই আরবি নামের পাশাপাশি সকলেরই একটি নিকনেমও থাকে। নিকনেম অর্থাৎ ডাকনাম।
যেমন যদি কারো আরবি নাম সুমাইয়া হয় তাহলে তার ডাকনাম সোমা অথবা সুমি ইত্যাদি হয়ে থাকে। ফেসবুক আইডি অথবা instagram আইডি তে মেয়েরা তাদের নাম কে এডিট করে সুন্দর করে। নামের আগে এবং পিছে বিভিন্ন ধরনের শব্দ বসিয়ে নামের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। তাই খুব সহজেই একটি মুসলিম মেয়ের আইডি সনাক্ত করা যায়।