বাংলা ছবির নামের তালিকা
৬০ থেকে ৭০ এর দশকের সময়ে অবিভক্ত বাংলার ছায়াছবির প্রাণকেন্দ্র ছিল ভারতীয় বাংলা ছায়াছবি। সে সময় এক বাক্যে উত্তম কুমার সুচিত্রা সেন জটিল বাংলা সিনেমা জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিল। তারপর পরবর্তীতে অবশ্য অনেক নায়ক নায়িকা বাংলা সিনেমায় চলে আসে। এবং বাংলা সিনেমার কাহিনী গুলো অনেক সুন্দর থাকার কারণে বাঙালি দর্শক তাদের বিনোদনের একটা জায়গা খুঁজে পেয়েছিল এই বাংলা ছায়াছবির মাধ্যমে। বর্তমান সময়ের মত শেষ সময়ে এত বিনোদনের ব্যবস্থা ছিল না হাতের মুঠোয়। তখনকার সময়ে মানুষের বিনোদন ছিল রেডিও অর্থাৎ বেতার দূরদর্শনে তেমন এখনো জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি তার মাঝেই শুরু হয় বাংলা চলচ্চিত্র বা বাংলা ছবি। বাংলা সিনেমা যখন বাংলার বিনোদনের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠতে থাকেন তখন মানুষের আরেকটি সমস্যা ছিল সেটি হচ্ছে যে প্রেক্ষাগৃহ বড় বড় শহর ছাড়া ছিল না। তাই মানুষকে যদি সেই বাংলা ছবি বা সিনেমা দেখতে যেতে হতো অনেকটা কষ্ট স্বীকার করেই যেতে হতো বড় বড় শহরগুলোতে।
কারণ হিসেবে সেই সময় প্রযুক্তির এত ব্যবহার হয়নি যে যেখানে সেখানে সিনেমা দেখানো যায়। সেই প্রেক্ষাগৃহগুলি বিনোদনের কেন্দ্র হয়ে ওঠে গ্রাম এবং শহরের। তবে গ্রামের আরেকটি বিষয় ছিল যাত্রাপালা। তবে সেই যাত্রাপালা গুলি হত বছরের নির্দিষ্ট কোন সময়। কোন সামাজিক অথবা গ্রামীণ কোন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আমরা যাত্রাপালা দেখতে পেতাম। যাত্রাপালাও বাংলাদেশের জনগণের একটি মনোরঞ্জনের জায়গা ছিল। শুধু মনোরঞ্জন কেন সে যাত্রাপালার মাধ্যমে মানুষ তার সামাজিক অনেক সমস্যা ফুটিয়ে তুলতো। তার থেকে ই যাত্রাপালা বিনোদনের অংশ হয় বাংলার জনগণের। তারপর যাত্রাপালার পাশাপাশি যখন বাংলা সিনেমা বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে প্রেক্ষাগৃহে তৈরি শুরু হয় অর্থাৎ বড় বড় শহর থেকে ছোট ছোট শহরে যখন প্রেক্ষাগৃহগুলি আসতে থাকে তখন এই বাংলা সিনেমার একটি গণজাগরণ শুরু হয়।
এই সময় গ্রামের প্রায় সকলেই বিনোদনের অংশ হিসেবে শহরে প্রেক্ষাগৃহে সিনেমা দেখতে যেত। এবং বেশিরভাগ শ্রমজীবী মানুষ এই সিনেমাকে কেন্দ্র করে বেঁচে ছিল। যখন নতুন সিনেমা শুরু হয় গ্রাম থেকে শহরে যাত্রী বহন করার কাজে ছিলাম রিক্সাওয়ালারা। তাদের এই প্রেক্ষাগৃহে বাঁচিয়ে রেখেছিল তাদের সংসার টিকে। তবে পরবর্তীতে আস্তে আস্তে আমাদের বাংলাদেশের সেই প্রেক্ষাগৃহগুলো ইন্টারনেটের দাপটে ভিসিআরসিটি ডিভিডি এ সকলের দাপটে সেগুলোর ব্যবসা পাঠ চুকাতে থাকে। তবে বর্তমানে এখন আমাদের বাংলাদেশে দুই একটি প্রেক্ষাগৃহ ছাড়া আর কোন অপেক্ষাগৃহ অবশিষ্ট নাই। আর বাংলা ছায়াছবি ও তেমনভাবে আর তৈরি হয় না দুই একটি যা তৈরি হয় তার শুধুমাত্র টেলিভিশন চ্যানেল এবং ইন্টারনেটের বদৌলতে হয়তো আমরা দেখে থাকি। তাই হয়তো বাংলা ছবির সেই স্বর্ণযুগ আস্তে আস্তে ফুরিয়ে এলো হয়তো কিছুদিন পর আর বাংলা ছায়াছবি বলতে কিছুই থাকবে না।
বাংলার জনগণের একটি বিনোদনের কেন্দ্র ধ্বংস অধ্যাপক প্রান্ত প্রায়। কিন্তু জনগণের অবশ্যই বিনোদনের প্রয়োজন রয়েছে সেই বিনোদন যদি ঠিকমতো না হয় তাহলে মানুষ অবশ্যই আস্তে আস্তে অন্ধকারে নিমজ্জিত হতে থাকে। সাংস্কৃতিক বিষয়টা আস্তে আস্তে বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্তির পথে আর এই কারণে দেখতে পাচ্ছি আমরা বাংলার আনাচে-কানাচে অপসংস্কৃতি মাথা ছাড়া দিয়ে উঠেছে। এবং একসময় হয়তো বাংলার যে গৌরব কথা ইতিহাস ঐতিহ্য সাংস্কৃতি সেসব না থাকলে বাঙালি জাতি আসলে কিভাবে টিকে থাকবে সেটি অবশ্যই চিন্তার বিষয়। তো যাই হোক আপনারা আমাদের এই পোস্টটি থেকে অবশ্যই বাংলা ছবির যে নামের তালিকা দেখতে এসেছেন তা এখন পেয়ে যাবেন।
বাংলা ছবির নামের তালিকা আপনাদেরকে এখন দেখানো হবে। আপনারাও এই বাংলা ছবির নামের তালিকা গুলি দেখে অবশ্যই বুঝে নিতে পারবেন। এবং এই নামের তালিকা গুলো যেহেতু আপনাদের প্রয়োজন তাই। তাই চলুন দেখা যাক বাংলা ছবির নাম গুলো এবং সেই নামের তালিকাটি আমরা পুরোপুরিভাবে আপনাদেরকে দিয়ে দিব। এখান থেকে আপনাদের যে ছবির নামটি প্রয়োজন তা অবশ্যই সংগ্রহ করতে পারবেন। তাহলে চলুন দেখা যাক বাংলা ছবির নামের তালিকা।