পুরুষ সাহাবীদের নামের তালিকা অর্থসহ

পুরুষ সাহাবীদের নামের তালিকা অর্থসহ

সাহাবী অর্থাৎ সঙ্গী অর্থাৎ যারা সঙ্গে থাকেন এমন ওদেরকেই সাহাবী বলা হয়ে থাকে। যে সকল ব্যক্তিবর্গ মহানবী হযরত মুহাম্মদ এর জীবিত থাকা অবস্থায় তার সাহায্যে এসেছেন তার সঙ্গে মোলাকাত করেছেন এবং তার জীবনের স্মরণ অনুসরণ করে জীবন যাপন করেছেন অর্থাৎ হযরত মুহাম্মদ এর সহিত সরাসরি দেখা সাক্ষাৎ করছেন এবং তার হাত ধরে ইসলাম গ্রহণ করে ছিলেন সে সকল ব্যক্তিদেরকে সাহাবী বলা হয়ে থাকে।

এক কথায় ইসলামের পরিভাষায় সাহাবী হলো নবীজির সঙ্গে যে সকল ব্যক্তির ওঠাবসা চলাফেরা এবং মোলাকাত ছিল সে সকল ব্যক্তিবর্গ কে সাহাবী বলে থাকা হয়। সাহাবী অর্থাৎ সাথী অর্থাৎ যে সকল ব্যক্তিবর্গ তার সাথে ছিলেন সেগুলাকেই সাহাবী বলা হয়। মহানবী হযরত মুহাম্মদ এর অনেক সাহাবী ছিলেন। এইসব সাহাবীরা সব সময় মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর সেবা যত্ন করেছেন এবং তার সঙ্গে থেকেছেন এবং তিনি কিভাবে জীবন যাপন করেছেন সে সকল অনুকরণ অনুসরণ করে প্রত্যেক মুসলমানদের মাধ্যমে সেটি বর্ণনা করেছেন।

এবং মানুষ অর্থাৎ সেই সময়কার মানুষ যদি কোন সমস্যায় পড়ে কি করতে হবে সেটি অবশ্যই মহানবীর কাছে গিয়ে বলে সেই সমাধান নিয়ে এসে তাদেরকে দিয়েছেন। এবং সকল সাহাবীদের শুভ কামনায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ সবসময় থাকতেন এবং তারা কিভাবে ভাল থাকবেন সকলকে নিয়ে তিনি তার মক্কায় বসবাস করে গেছেন। তাই বলা হয় যে ইসলামে সাহাবীদের স্থান অনেক উপরে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এর পরেই সাহাবীদের নাম উচ্চারণ করা হয় এবং তাদেরকে সেই সম্মানে ভূষিত করা হয়। এর কারণ হলো যে মহানবী হযরত মুহাম্মদ মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় ব্যক্তিত্ব এবং তার সাহচার্য থাকা সকল ব্যক্তির বর্গ অবশ্যই মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসেবেই অবহিত করা হয়।

অর্থাৎ এই প্রিয় ব্যক্তির কাছাকাছি যারা ছিলেন তাদেরকে অবশ্যই প্রিয় হিসাবে বেঁচে থাকেন কারণ এই প্রিয় ব্যক্তির কাছাকাছি যেহেতু আমরা নিজেরা থাকতে পারেনি তাই যে সকল ব্যক্তিবর্গ ছিল তাদেরকে অবশ্যই আমরা ভালোবাসি এবং তাদেরকেও তারপরে স্থানে আমরা তাদের সেই নাম উচ্চারণ করে থাকি। তাই আমরা দেখি যে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সালামের জীবিত থাকা অবস্থায় তার আশেপাশে যে সকল ব্যক্তিবর্গ ছিলেন তারা অবশ্যই তার শুভাকাঙ্ক্ষী ছিলেন। তার সঙ্গে তারা থেকেছেন এবং তার সঙ্গে মোলাকাত করেছেন এবং সুখে দুঃখে বিভিন্ন ধরনের ফেলা পরামর্শ তাদের কাছ থেকে নিয়েছেন। এই সাহাবীরা যে কোন বিপদে পড়লে হযরত মুহাম্মদ নিজে তাদেরকে পরামর্শ দিয়ে এবং কোথায় কি করতে হবে কিভাবে জীবানচরণ করতে হবে সকল কিছু তাদেরকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। এই সাহাবীরা পরবর্তীকালে মহানবীর সেই জীবনের স্মরণ এবং উপদেশ গুলি বিভিন্ন গ্রন্থে রচনা করেছেন এবং এইগুলি পরবর্তীতে হাদিস নামে অভিহিত হয়।

মহানবী হযরত মুহাম্মদ কিভাবে কোন কাজ করেছেন এ সকল বর্ণনা পাওয়া যায় সেই সাহাবীদের বিভিন্ন হাদিসে। এ কারণে মুসলমানদের জন্য অবশ্য হাদিসের গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। তবে আপনারা যেহেতু আজকে পুরো সাহাবীদের নামের তালিকা দেখতে চেয়েছেন তা অবশ্যই আমাদের এখান থেকে পাবেন। আপনারা যেহেতু এতক্ষণ পর্যন্ত অত্যন্ত ধৈর্য সহকারে আমাদের এই পোস্টটি পড়েছেন তাহলে আর একটু ধৈর্য সহকারে পড়লে পারে অবশ্যই এই নামের তালিকা গুলি অর্থাৎ পুরো সাহাবীদের নামের তালিকা গুলি আপনারা পেয়ে যাবেন। তাই এই পুরো সাহাবীদের নামের তালিকা পড়ে অবশ্যই যত্ন সহকারে সেগুলি মনের কোণায় রেখে দেবেন এবং যেকোনো সময় যদি আপনার প্রয়োজন হয় বা নিজের ইচ্ছায় যে সেই সময় সাহাবী কারা ছিল তাদের জানার কৌতূহল হলে অবশ্যই আবার বের করে দেখবেন এবং সেটি নিজের মনের কোনায় শুধু রেখে না দিয়ে অন্যের সঙ্গে আলোচনা করবেন তাহলে অবশ্যই আপনার জ্ঞান ও বৃদ্ধি পাবে ইসলাম সম্পর্কে। তাহলে চলুন দেখি সাহাবীদের নামের তালিকা গুলি।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *