মাদ্রাসার নামের তালিকা

মাদ্রাসার নামের তালিকা

যারা নিজের সন্তানকে মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দিতে চাইছেন কিন্তু কোন মাদ্রাসায় ভর্তি করবেন তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না তারা আমাদের আজকের পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। আশা করি আমাদের আজকের পোস্টটি পড়ার পর আপনারা ধারণা পেয়ে যাবেন সন্তানকে কেমন মাদ্রাসায় পড়াতে হবে। আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করব বর্তমান সময়ে মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন এবং কোন ধরনের মাদ্রাসাগুলি আপনার সন্তানের জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী হতে পারে। বাংলাদেশের জেলা শহরগুলোতে কোন কোন মাদ্রাসা রয়েছে এবং এই মাদ্রাসাগুলো কত বছর ধরে শিক্ষা দিয়ে আসছে তা জেনে নিতে পারবেন এই পোষ্টের মাধ্যমে অথবা কিভাবে জেনে নিতে হবে সে পদ্ধতি সম্বন্ধে স্পষ্ট ধারণা পাবেন।

হাফিজিয়া মাদ্রাসার নামের তালিকা

প্রতিটি পিতামাতা চান তাদের সন্তান যেন সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়। বর্তমান সময়ে অভিভাবকরা তাদের সন্তানের শিক্ষাজীবন নিয়ে বেশ চিন্তিত হয়ে পড়ে কারণ কোন শিক্ষার্থী যদি একবার পা হড়কায় তবে তার ভবিষ্যত কখনোই ভালো হবে না। আপনার সন্তানকে কিভাবে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহী করে তুলবেন এ বিষয়ে আপনাকে অনেক বেশি সচেতন হতে হবে। আপনার সন্তানকে সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার দায়িত্ব আপনার। শিক্ষকরা শুধু গাইডলাইন দিতে পারেন কিন্তু একটি শিশুকে ভালো মানুষ করার দায়িত্ব তারা নিতে পারেন না। যেহেতু আপনার সন্তান ছোটবেলা থেকে আপনার কাছেই বড় হবে তাই তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য কেমন হবে তা আপনি হয়তো ঠিক করে দিতে পারবেন। মাদ্রাসার তালিকা নিয়ে কথা বলার আগে আমরা একটু আলোচনা করি কিভাবে আপনার সন্তানকে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহী করে তুলবেন।

শিশুরা অনেক কৌতুহলী হয়ে থাকে। তাদের সামনে যদি আপনি নতুন কোন বস্তু অথবা খেলনা নিয়ে আসেন তবে তারা বারবার সেটি দেখতে থাকে এবং এটি আসলে কি কাজ করে তা বের করার চেষ্টা করতে থাকে। তাদের এই কৌতূহলকেই আপনি একসময় নেশায় পরিণত করতে পারেন। খেয়াল করে দেখবেন আমাদের আশেপাশে অনেক শিশু কার্টুন দেখতে খুব পছন্দ করে। তাদের কার্টুন দেখার নেশা তৈরি করে অভিভাবকেরাই। শিশুরা কান্না করলে তাদের থামানোর জন্য আমরা অনেকেই মোবাইল ফোন অথবা টিভিতে কার্টুন দেখাতে থাকি। প্রতিনিয়ত এমনটা করতে করতে একসময় কার্টুন দেখাটা তার নেশা হয়ে যায়। এরপর থেকে সে কার্টুন না দেখলে কান্না করতে শুরু করে। ঠিক একই রকম ভাবে আমরা পড়াশোনার প্রতি শিশুদের আগ্রহী করে তুলতে পারি। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে আপনার সন্তান যেন অসামাজিক হয়ে না পড়ে।

দাখিল মাদ্রাসার তালিকা

বর্তমান সময়ে অনেক শিশুরা গেমের প্রতি ভীষণ আসক্ত হয়ে পড়ে। অনলাইন গেম এর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়লে তারা সারাক্ষণ গেম খেলতে থাকে অন্যান্য বিষয় নিয়ে তাদের কোন আগ্রহ থাকে না। এমন অবস্থায় অভিভাবকরা অনেক চিন্তিত হয়ে পড়ে। ছোটবেলা থেকে একটি শিশুকে নিয়ে আমরা যে স্বপ্ন দেখতে থাকি তা আস্তে আস্তে ধ্বংসের পথে চলে যায় অনলাইন গেম এর কারণে। এ কারণে অনেক মানুষ বাচ্চাদের হাতে ফোন দেওয়া পছন্দ করেন না। বাচ্চাদের হাতে ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন তুলে দেওয়া উচিত নয়।

তাদেরকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ব্যবহার করতে দিতে হবে এবং লক্ষ্য রাখতে হবে তারা যেন এমন কিছু অ্যাপস ব্যবহার না করে যেগুলো তাদের মানসিক বিকৃতি ঘটাতে পারে। লক্ষ্য রাখতে হবে মোবাইল ফোন যেন তাদের কাছে নেশার মতো হয়ে না যায়। যদি এমনটা হয় তবে যে কোন শিশু পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। আর একবার পড়াশোনা প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেললে কখনোই সে পড়তে বসতে চাইবে না। চলুন এখন আলোচনা করা যাক আপনার শিশুকে কেন মাদ্রাসায় ভর্তি করবেন।

১০০০ মাদ্রাসার তালিকা

যারা নিজের সন্তানকে মাদ্রাসায় ভর্তি করতে চাইছেন তারা নিশ্চয়ই মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা সম্বন্ধে যথেষ্ট ধারণা নিয়েই এমন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মাদ্রাসায় আবাসিক ব্যবস্থায় পড়াশোনা করানো হয়। ২৪ ঘন্টা পড়ানোর জন্য শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া থাকে। শিক্ষকরা সবসময়ই শিক্ষার্থীদের চোখে চোখে রাখেন এবং পর্যবেক্ষণ করেন। শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার প্রতি যথেষ্ট আগ্রহী হয়। পড়াশোনার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে অভিভাবকরা নিজের সন্তানকে মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

কওমী মাদ্রাসার নামের তালিকা

এছাড়াও মাদ্রাসায় পড়াশোনা করলে শিক্ষার্থীরা আরও কয়েকটি বিষয় খুব ভালোভাবে শিখতে পারে। যেহেতু মাদ্রাসায় অনেক জন শিক্ষার্থী একসাথে থাকে তাই তারা শেয়ারিং বিষয়টা খুব ভালো বুঝতে পারে। একটি রুম শেয়ার করে বেশ কয়েকজন থাকতে পারে এছাড়াও একজনের খাবার কয়েকজন ভাগাভাগি করেও খেতে পারে। এতে তাদের মধ্যকার বন্ধন আরো দৃঢ় হয়। সব সময় পড়াশোনার মধ্যে থাকায় শিক্ষার্থীরা কোন ধরনের অবৈধ কাজে লিপ্ত হওয়ার সুযোগ পায় না।

বাংলাদেশে বেশকিছু ক্যাডেট মাদ্রাসা রয়েছে যেখানে ডিসিপ্লিন এর সাথে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়। মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েকটি ভাষা শেখার সুযোগ লাভ করে। বাংলা ভাষার পাশাপাশি ইংরেজি আরবি ফার্সির মত ভাষা শেখার সুযোগ থাকে মাদ্রাসায়। এই সুযোগ সুবিধাগুলো থাকার জন্যই সাধারণত অভিভাবকরা তাদের সন্তানকে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে থাকে। কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে যারা নিজের সন্তানকে মাদ্রাসায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তারা কিভাবে বুঝবেন কোন মাদ্রাসায় ভর্তি করা সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত হতে পারে। এজন্য আপনাকে বেশ কিছুদিন সময় নিয়ে কাজ করতে হবে। হঠাৎ করে যে কোন মাদ্রাসায় নিজের সন্তানকে ভর্তি করা ঠিক হবে না।

প্রথম থেকে আপনার জেলা শহরের আশেপাশে কোন মাদ্রাসা গুলো সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় সে বিষয়ে খোঁজ নিতে হবে। খোঁজ নেওয়া শেষ হলে আপনি মাদ্রাসা গুলোর নাম লিখে একটু তালিকা তৈরি করতে পারেন এবং কোন মাদ্রাসায় কোন ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে সে বিষয়গুলো নোট করে রাখতে পারেন। আপনার আশেপাশের কোন ব্যক্তি যদি এর আগে কোন মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে থাকে তবে তার পরামর্শ নেওয়ার চেষ্টা করুন। তার দেওয়া পরামর্শ অনুযায়ী তালিকা তৈরি করলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন কোন মাদ্রাসাটি আপনার এলাকায় সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় এবং কোন মাদ্রাসাটি আপনার সন্তানের জন্য সবচেয়ে পারফেক্ট হবে।

মহিলা মাদ্রাসার নামের তালিকা

মাদ্রাসায় ভর্তি করার আগে আপনার সন্তানের মতামত জানার চেষ্টা করুন। আপনার সন্তান যে মাদ্রাসায় ভর্তি হতে চাইছে সেখানে ভর্তি করার চেষ্টা করুন কারণ তার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভর্তি না করলে পরবর্তীতে তার মন খারাপ থাকতে পারে এবং পড়াশোনায় মনোযোগ না আসতে পারে। ভালোভাবে পড়াশোনা করার জন্য দরকার সুন্দর একটি পরিবেশের। স্কুল হোক কলেজ হোক কিংবা মাদ্রাসা হোক সব সময় খেয়াল রাখতে হবে সেখানকার পরিবেশ যেন সুন্দর হয়। পরিবেশ সুন্দর না হলে পড়াশোনা তো দূরের কথা, সেখানে কিছুক্ষণ কাটানোই ভীষণ কঠিন হয়ে পড়বে ছোট বাচ্চাদের জন্য।

এরপরও যদি এ বিষয় নিয়ে আপনার মনে কোন প্রশ্ন থাকে তবে কমেন্ট বক্সে এসে জানাবেন। আমরা চেষ্টা করব বাংলাদেশের মাদ্রাসাগুলোর সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরতে। আপনি চাইলে সরাসরি গিয়ে মাদ্রাসায় পর্যবেক্ষণ করে আসতে পারেন সেখানে কেমন ভাবে পড়াশোনা করানো হচ্ছে এবং ঠিকভাবে যত্ন নেওয়া হচ্ছে কিনা। আবাসিক মাদ্রাসা হলে সেখানে সুন্দর পরিবেশ আছে কিনা, আশেপাশে ঘুরতে যাবার মত কোন সুন্দর জায়গা আছে কিনা, থাকার ঘরের পরিবেশ কেমন, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা আছে কিনা, আশেপাশে এমন কোন দোকান আছে কিনা যেখানে সব ধরনের জিনিসপত্র পাওয়া যাবে এইসব বিষয়গুলো মাথায় রেখেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার চেষ্টা করুন।

আরো একটি কথা জানিয়ে রাখা ভালো মাদ্রাসার নামের তালিকা সংগ্রহ করতে আপনাকে খুব বেশি কষ্ট করতে হবে না। বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক মাদ্রাসার বিজ্ঞাপন দেওয়া থাকে যেখান থেকে ঠিকানা সংগ্রহ করে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন। এরপরও যদি আপনারা নামের তালিকা সংগ্রহ করতেই চান তবে কমেন্ট বক্সে লিখে রাখুন আমরা পরবর্তী পোস্টে আপনাদের জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *