মেয়েদের সুন্দর ইসলামিক নাম

মেয়েদের সুন্দর ইসলামিক নাম

ইসলাম ধর্মের মেয়েদের নাম হাদিস অনুযায়ী রাখা হয়। ইসলামী মেয়েদের নাম তাড়াতাড়ি চিহ্নিত করা যায়। কারণ ইসলামী মেয়েদের অধিকাংশ নাম ই আরবি নাম। আরবি থেকে একটি সুন্দর ইসলামী নাম নির্বাচন করা হয়। আরবি নামের একটি সুন্দর অর্থবহ বাংলা অর্থ রয়েছে।

অধিকাংশ গ্রাম বাংলার মুসলিমরা হাদিস দেখে অথবা কোরআন শরীফ দেখে একটি ইসলামিক নাম কন্যা সন্তানের জন্য নির্বাচন করে। কিন্তু আমাদের ব্যস্ত জীবনে আমাদের কাছে সময় থাকে না। কোরআন শরীফ দেখে হাজারো শব্দের মাঝে একটি নাম নির্বাচন করা কষ্টকর হয়ে পড়ে। এর জন্য অনেক সময় ব্যয় হয়। কিন্তু এখন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আশীর্বাদে আমরা যেকোনো কাজ সহজে এবং স্বল্প সময় করতে পারি। আপনি যদি আপনার নবজাতক কন্যার জন্য একটি সুন্দর ইসলামিক নাম এর সন্ধান করেন তাহলে আপনি নিশ্চয়ই আপনার মুঠোফোনটি ব্যবহার করে আপনার সমস্যার সমাধান করে নিতে পারবেন।

আমরা অনেকে একটি সুন্দর নামের সন্ধান করি। কোরআন শরীফ হাদিস অনুযায়ী নাম রাখলে সবাই বলে হাদিস থেকে রাখা নাম নবজাতকের জন্য কল্যাণকর হয়। হাদিস অনুযায়ী নাম রাখলে নবজাতকের মধ্যে ধর্মীয় ভাবের আবির্ভাব ঘটে। মেয়ে/ কন্যা শিশুর ইসলাম নাম রাখবেন কিন্তু জানেন না ইসলামিক নাম কি? তো জেনে নিন মেয়েদের ইসলামিক নামটা আসলে কি!

সহজ ভাষা মেয়ে হোক বা ছেলে ইসলাম নাম হলো এমন একটি নাম যে নাম শুনে বোঝা যায় যেন শিশুটি ইসলাম ধর্মের অনুসারী। ইসলামিক নামগুলো সাধারণত আরবী শব্দ হয়ে থাকে। তবে বাংলা, উর্দূ, ফারসী কিংবা অন্য ভাষারও হতে পারে। আর প্রতিটি ইসলামিক নামের সুন্দর নামে অর্থ থাকে। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন ইসলামিক নাম আসলে কি।

আপনি যদি ইসলামিক কন্যা সন্তানের নাম পছন্দ করেন তাহলে আমরা আপনাকে হাজার হাজার ইসলামিক নামের উদাহরণ দেখাতে পারি। আমরা সকলেই চাই আমাদের ধর্মের গুণগান এবং ধর্মের প্রচার দেখতে। আমাদের সমাজে চার ধরনের ধর্মের প্রচলন রয়েছে। সবার কাছে নিজের ধর্মই সেরা। আমরা সবাই সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধার দৃষ্টি প্রদর্শন করবো। কোন ধর্ম নিয়ে ব্যঙ্গ করব না। কারন আমাদের কাছে ধর্ম হলো সবচেয়ে প্রিয় একটি পবিত্র বিশ্বাস। ধর্ম অনুযায়ী আমাদের জীবন প্রতিবাহিত হয়। ধর্ম দ্বারা একটি ব্যক্তিত্ব সম্পূর্ণ রূপে নিয়ন্ত্রিত। তাই মানুষের জীবনে সর্বপ্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো ধর্ম।

বাংলাদেশ একটি মুসলিম দেশ। বাংলাদেশে মুসলিমদের সংখ্যা বেশি। কিন্তু বাংলাদেশে চার ধরনের ধর্ম প্রচলন রয়েছে। বাংলাদেশের সংসদ অনুযায়ী সকলে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারে। ধর্মের অনুশাসন এবং ধর্মের নৈতিক শিক্ষায় পারে একটি দেশকে সুস্থ হয়ে পরিচালনা করতে। বাংলাদেশ যেহেতু একটি মুসলিম রাষ্ট্র তাই বাংলাদেশে মুসলিমদের অধিপত্য বেশি। বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় সকল কার্যক্রমে লক্ষ্য করলে দেখা যায় ইসলামী নামের অনেক ব্যক্তিত্ব প্রতিষ্ঠিত। আপনি চাইলে তাদের নাম অনুসরণ করেও একটি সুন্দর নাম নির্বাচন করে নিতে পারেন।

ইসলামিক নাম হল ইসলাম ধর্মে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের সুন্দর অর্থবহ শব্দ। ইসলামিক নাম সম্পূর্ণ আলাদা। কারণ আমরা অন্য ধর্ম দের নামের সঙ্গে ইসলাম ধর্মের নাম কে পৃথক করতে পারি। যেমন হিন্দুদের নাম এবং ইসলাম ধর্মের নাম যে কেউ পৃথক করতে পারে। যেমন উদাহরণস্বরূপ ইসলাম ধর্মের একটি মেয়ের নাম” নুরনাহার”। ধরে নিন ইসলাম ধর্মের কোন একটি মেয়ের নাম নুরনাহার। আমাদের সমাজে কোন হিন্দু মেয়েদের নাম কি নুরুন্নাহার হয়?
কখনোই না না। কারণ ধর্মের বিরুদ্ধে হিন্দু ধর্মের কোন মানুষ নিজের নবজাতক কন্যা সন্তানের নাম নুরনাহার রাখবেন না। কারণ এটি একটি ইসলাম ধর্মীয় না। ধর্মের অনুশাসনের বাইরে কোন ধর্মে ই নাম রাখা হয় না।

যেমন এখানে উদাহরণস্বরূপ আরেকটা কথা বলা যায়, হিন্দু একটি মেয়ের নাম সরস্বতী। ধরুন আপনার আশেপাশে অথবা আপনার প্রতিবেশী একটি মহিলার নাম সরস্বতী। এখন আপনি কখনোই ভাবতে পারেন না যে মহিলাটি হিন্দু কিনা মুসলিম। এটা আপনার মাথায় কখনো আসবে না সরস্বতী নামের মেয়েটা হিন্দু হতে পারে নাকি মুসলিম। কারণ সরস্বতীর নাম শুনেই আপনি বুঝতে পারবেন মেয়েটা হিন্দু। সরস্বতী নামের মেয়েকে কোনদিনই মুসলিম হতে দেখা যায় না। কারণ এটি সামাজিক নিয়মের বিরুদ্ধে। মানুষ সামাজিক জীব। সমাজের নিয়ম অনুযায়ী মানুষ যেতে পারেনা। তাই হিন্দু এবং মুসলিম ধর্মকে সকল ভাবে পৃথক করা সম্ভব। নাম অনুসারে, দৈনিন্দন জীবনের কার্যক্রম অনুসারে, কথাবার্তা আচার-বিচার সবকিছু দিয়েই হিন্দু-মুসলিম ধর্মকে পৃথক করা সম্ভব।

যদিও আচার বিচার দাঁড়া, দুটি ধর্মকে পৃথক করা একটু সমস্যা হয়ে যায় কিন্তু নাম দিয়ে পৃথক করা সম্ভব।

একটি ধর্মীয় নাম একটি কন্যা সন্তানকে ধর্মীয় পথে অগ্রসর করে। ইসলাম ধর্মের একটি ধর্মীয় নাম ইসলাম ধর্মের একটি নারীকে আল্লাহর প্রতি শ্রদ্ধাশীল বানায়। ইসলামী ধর্মের আচার নিয়ম এর প্রতি শ্রদ্ধাশীল ভাবে গড়ে তোলে। ইসলাম ধর্মীয় নাম একটি নারীকে পর্দাশালী করে তোলে। তাই সুন্দর একটি ধর্মীয় নাম আমরা সকলে প্রার্থনা করি।

আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন একটি সুন্দর ধর্মীয় নাম একটি নবজাতকের জন্য কতটা প্রয়োজন। আপনি যদি আপনার কন্যা সন্তানের জন্য একটি সুন্দর ইসলামী নাম এর সন্ধান করে থাকেন তাহলে আপনি নিশ্চয়ই আমাদের ওয়েবসাইট থেকে হাজার হাজার ইসলাম ধর্ম নামের মধ্যে থেকে একটি নাম বেছে নিতে পারবেন। যেহেতু বাংলাদেশ একটি মুসলিম দেশ তাই আমাদের এই দেশে হাজার হাজার ইসলাম ধর্মীয় নাম দেখতে পাওয়া যায়। ইসলাম ধর্মীয় একটি কন্যা সন্তানের নাম আধুনিক এবং জনপ্রিয়। বাংলাদেশে ইসলামী নাম জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। চলুন দেখি নিন ইসলাম ধর্মের কন্যা সন্তানের জন্য কিছু ধর্মীয় নামের উদাহরণ:-

ইয়াসমিন, জেসমিন ,আয়েশা ,নুরনাহার ,
সালমা ,ফাতেমা, মিম, জিয়া, জিনাত,
হাসিনা ,তাসলিমা, আল, মাহি, হাবিবা,
তারানা ,তোহা ,তওবা ,তারিন ,আমিনা
লামিয়া ,সাদিয়া ,সুমাইয়া ,সুরাইয়া, সুমনা,
আলিয়া ,মনোয়ারা ,কারিশমা, কারিনা, কুদরাত,
জাহান, আরোহী ,আরবি , হালিমা,জোহরা, তুবা, তামিমা ,
হানজালা,আরিফা, আলিবা, আশা, আকলিমা,
খাদিজা, বক্তিয়ার, মমতাজ, কোহিনুর ,রোকেয়া ,
জেরিন ,রাবেয়া, মরিয়ম, মেহেবুবা, মদিনা,
মেজবা ,মোনালিসা, মজিবার, জেস্রিইন, সাবরিন,
নাজনি ,দেলোয়ার, হালিমা,
রোজানা ,মাইশা ,আলফা, লিজা, জুলেখা,
মাহমুদা, শাবনুর ,সানজিদা, শাবানা, শাহনাজ ,
পারভীন ,সুলতানা ,শিরীন ,নাজলি ,শামীমা ,নাজনীন, রোকসানা ,ফাইমা ,বেহেস্তি ,দিলআফরোজা,
আফরোজা ,নার্গিস ,মমতাজ, তারামনি ,তালিবা,
জান্নাত , জেহেনা, জান্নাতুন ,তুহিন ,সানজিদা,
শাহানা ,রেহানা, রুবিনা,
আফিয়া ,আনজু ,আনোয়ারা, মনিরা ,মোহনা, আজমিরী ফাহিমা,
জেবা, আমিনা, ফারজানা, ইত্যাদি।
উপরের প্রদত্ত অনেকগুলো সুন্দর সুন্দর ইসলামী কন্যা সন্তানের নামের মধ্যে থেকে একটি সুন্দর ইসলামী নাম নির্বাচন করা আপনার জন্য সহজ হবে। আশা করি নাম গুলো আপনার পছন্দ হবে।

মেয়েদের সুন্দর ইসলামিক নাম

আপনি নিশ্চয় ই আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন হবে পড়ে বুঝতে পেরেছেন একটি ধর্মীয় নামের গুরুত্ব কতখানি। তাই আপনার কন্যা সন্তানের জন্য বেছে নিয়ে আপনার নবজাতক কন্যা সন্তানকে সুন্দরভাবে বিকাশের জন্য সহায়তা করুন। আপনি যদি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে একটি সুন্দর নাম বেছে নিয়ে আপনার কন্যা সন্তানের জন্য নাম নির্বাচন করে থাকেন তাহলে আপনি নিশ্চয়ই আমাদের আর্টিকেলটি শেয়ার করে অন্যকে সাহায্য করতে পারেন। আপনার নবজাতক কন্যা সন্তানের জন্য রইল অনেক শুভকামনা। আপনার নবজাতক কন্যা যেন ইসলাম ধর্মের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বেড়ে ওঠে। আল্লাহ আপনার কন্যাকে দোয়া করবেন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *