মোবাইল দোকানের সুন্দর নামের তালিকা

আপনি যদি নতুন একটি ব্যবসা করতে চান কিন্তু উপায় খুঁজে না পান তবে আপনার জন্য খুব ভালো একটি উপায় হতে পারে মোবাইল দোকানের ব্যবসা করা। এখন হয়তো আপনি ভাবতে পারেন এত ব্যবসা বাদ দিয়ে মোবাইল দোকানের ব্যবসা কেন শুরু করব? মোবাইল দোকানের ব্যবসা করে কি স্বাবলম্বী হওয়া যাবে? মোবাইল দোকানের ব্যবসা দিয়ে কি সংসার চালানো সম্ভব? এই সব প্রশ্নের উত্তর গুলো খুঁজে পাবেন আমাদের এই লেখার মধ্যে। একটি মোবাইল দোকানের ব্যবসা করে আপনি কিভাবে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করে ফেলতে পারেন সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজবো আজ।।

তাছাড়া একটি মোবাইল দোকান শুরু করতে গেলে আপনাকে কোন কাজগুলো করতে হবে, কত টাকা ইনভেস্ট করতে হবে, কোন ক্যাটাগরির মোবাইল ফোন দোকানে রাখলে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হবে এ তথ্যগুলো আমরা আজকের আর্টিকেলে তুলে ধরব। আমাদের আজকের আর্টিকেলের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল মোবাইল দোকানের সুন্দর নামের তালিকা। আপনি নতুন মোবাইলের দোকানের জন্য সুন্দর সুন্দর নামের তালিকা কিভাবে তৈরি করবেন তা জানার জন্য চোখ রাখতে হবে এই পোস্টের শেষ পর্যন্ত। আর তাছাড়া কমেন্ট বক্সে আপনারা যে প্রশ্নগুলো করেছেন সেগুলোর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব পোষ্টের শেষের দিকে। তো চলুন দেখে আসা যাক একটি মোবাইল ফোনের দোকানের ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে কোন কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে এবং এই সমস্যাগুলো কিভাবে সমাধান করবেন।

বর্তমান সময়ে এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যাদের কাছে ভালো টাকা পয়সা থাকা সত্ত্বেও নতুন কোনো ব্যবসা শুরু করার সাহস পাচ্ছেন না। এর প্রধান কারণ হলো ব্যবসা সম্বন্ধে তাদের কোন ধারনা না থাকা। কোন ব্যবসায় কেমন লাভ হতে পারে, কোন ব্যবসা করতে গেলে সামনে বড় কোন সমস্যা আসবে কিনা এ তথ্যগুলো না জেনে কেউ কখনোই ব্যবসা শুরু করতে পারবে না। তাই শুধুমাত্র টাকা থাকলেই ব্যবসা করা সম্ভব নয়। ব্যবসা করার জন্য আপনার মনের জোর থাকতে হবে। মনের জোরের পাশাপাশি অক্লান্ত পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকতে হবে তার সাথে দীর্ঘ সময় ধৈর্য ধরার মত মনের অবস্থা থাকতে হবে। ব্যবসা শুরুতে যদি আপনি লাখ লাখ টাকা আয় করতে চান তবে সে ব্যবসায় দীর্ঘদিন টিকতে পারবেন না। কোন ব্যবসায় টিকতে গেলে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে কিভাবে ক্রেতাদের ভালো সার্ভিস দেওয়া যায়।

আপনি যদি খদ্দেরদের সাথে ভালো আচরণ না করেন তবে তারা কখনোই আপনার দোকানে আসতে চাইবে না। দীর্ঘদিন ব্যবসা করতে গেলে কাস্টমারদের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখা জরুরী। আপনি যে পণ্যের ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছেন সে পণ্য সম্বন্ধে অনেক বেশি ধারণা থাকতে হবে। যদি পচনশীল পণ্যের ব্যবসা করতে যান তবে ক্ষতি হবার অনেক সম্ভাবনা থাকে। আবার আপনি যদি পণ্যগুলো সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারেন তবে লাভবান হতে পারবেন। আমরা যেহেতু উপরেই বলেছি আজ মোবাইল ফোনের ব্যবসা নিয়ে কথা বলব, তাই আমরা খোঁজার চেষ্টা করব একটি মোবাইল ফোনের দোকান থেকে কিভাবে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হওয়া সম্ভব।

বর্তমান সময়ে বাজারে মোবাইল ফোনের দোকানের সংখ্যা মোটেও কম নয়। প্রতিটি বাজারেই অসংখ্য মোবাইলের দোকান রয়েছে। তবে এরপরও কিন্তু মোবাইলের ব্যবসা থেমে নেই। অসংখ্য দোকান থাকলেও প্রতিটি দোকানে অনেক বেশি মোবাইল ফোন বিক্রি হচ্ছে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন মোবাইলের চাহিদা কত বেশি রয়েছে। প্রতিদিন নতুন নতুন কাস্টমার মোবাইলের দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন নতুন নতুন মডেলের মোবাইল ফোন কেনার জন্য। একটা সময় বাজারে শুধু বাটন মোবাইল ফোন পাওয়া যেত যেগুলো থেকে কল আদান-প্রদান ও মেসেজ করা যেত। বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন আসায় সকলেই স্মার্ট ফোন ব্যবহার করতে চাইছেন।

স্মার্টফোনের ব্যবহারকারী সংখ্যা যেমন ভাবে বাড়ছে ঠিক তেমনি ভাবে বাড়ছে স্মার্টফোনের দোকান। তবে এরপরও আপনি একটি মোবাইল ফোনের দোকান দিয়ে ভালো উপার্জন করতে পারবেন। যদি কাস্টমারদের সাথে আপনার ভালো সম্পর্ক থাকে তবে কাস্টমাররা প্রতিবার ফোন কেনার জন্য আপনার দোকানে ভিড় জমা হবে। মোবাইল ফোন ছাড়াও চার্জার, ব্যাটারি, হেডফোন, মেমোরি কার্ডের মত গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো কিনতেও আপনার কাছে আসতে হবে তাদের। আপনার ব্যবসা শুধুমাত্র মোবাইলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে ব্যবসা করলে কাস্টমারদের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখা যায়।

কাস্টমারদের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি করতে গেলে সব কিছুর আগে দোকানের নাম ঠিক করতে হবে এমনভাবে যে নামটি সব কাস্টমারদের মনে গেঁথে যায়। কোন ব্যক্তি যদি একটি মোবাইল ফোন কেনার কথা ভাবে তবে সবার আগে যেন আপনার দোকানের নামটি তার মনে আসে এমনভাবে কাজ করতে হবে। কাস্টমারদের মাথার মধ্যে আপনার দোকানের নামটি ঢুকিয়ে দিতে হবে। এমন ভাবে ঢুকিয়ে দিতে হবে যেন তারা অন্য কোন দোকানের কথা ভাবতে না পারে। আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতেই পারছেন সুন্দর একটি নাম না বললে কখনোই কাস্টমাররা আপনার দোকানের নাম মনে রাখতে পারবে না। আপনি যদি যেমন তেমন একটি নাম দিয়ে ফেলেন তখন কাস্টমাররা এ নামটি মনেই করতে পারবেনা।

তাই বলা যায় কাস্টমারদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে গেলে সব কিছুর আগে যেটি গুরুত্বপূর্ণ তা হল দোকানের নাম। মোবাইলের দোকানে সুন্দর নাম আপনি কোথায় পাবেন? এই প্রশ্নগুলো আমরা সচরাচর দেখতে পাই। অনেকেই ফেসবুক অথবা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এসে প্রশ্নগুলো করে থাকেন। অসংখ্য কমেন্টের ভিড়ে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। আমরা চেষ্টা করি এমন ভাবে প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে যেন সবাই একসাথে সমাধান পেয়ে যায়। তো চলুন দেখে আসি কিভাবে আপনি মোবাইলের দোকানের সুন্দর নাম খুঁজে বের করতে পারবেন।

আপনার এলাকায় যে কয়েকটি মোবাইলের দোকান রয়েছে সব দোকানের চেয়ে আপনার দোকানের নাম বেশি সুন্দর হতে হবে। আপনার দোকানের নামটি হতে হবে ইউনিক। এমন একটি নাম সিলেক্ট করতে হবে যে নামটি এর আগে কেউ কখনো কোথাও দেখেনি। আপনি যদি পরিচিত নাম গুলোর মধ্যে একটি বেছে নিতে চান তবে এটি হবে সবচেয়ে বড় বোকামি। আমাদের বিশ্বাস এমন বোকামি আপনি করতে চাইবেন না। আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন এমন একটি নাম পছন্দ করতে যে নামটি কাস্টমারদের মুখে মুখে থাকবে। নাম পছন্দের কাজটি মোটেও সহজ নয় তবে যেহেতু এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ তাই অনেক চিন্তাভাবনা করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

মনে রাখবেন, একটি নাম পছন্দ করার পর সেই নামটি কিন্তু শেষ পর্যন্ত থাকবে। আপনি চাইলেও দুদিন পরপর দোকানে নাম পরিবর্তন করতে পারবেন না কারণ কাস্টমারদের কাছে আপনার দোকানটি পরিচিত হয়ে যাবে। আপনি যখন মোবাইলের দোকান শুরু করতে যাবেন তখন অনেক মানুষ আপনাকে নেতিবাচক পরামর্শ দিতে পারে। কেউ কেউ আপনাকে নিরুৎসাহিত করতে পারে। তাদের কথায় কান না দিয়ে আপনি অভিজ্ঞ কোন ব্যক্তির সাথে আলোচনা করুন এবং তাদের পরামর্শ নিন। আপনি চাইলে বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিদের সাথে সাক্ষাৎ করতে পারেন। তারা আপনাকে অনেক সুযোগ-সুবিধা দিবে প্রথমদিকে। সব মিলিয়ে শুরুটা মন্দ হবে না।

সুন্দর একটি নাম দিয়ে ডেকোরেশন এর কাজ শুরু করে দিন। প্রচার প্রচারণার জন্য বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয় স্বজনদের কাজে লাগাতে পারেন। এছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার দোকানের পরিচিতি বাড়াতে পারেন। প্রথমদিকে কাজগুলো বেশ কঠিন মনে হলেও আস্তে আস্তে অনেক সহজ হয়ে যাবে। এরপর একসময় আপনি ব্যবসা উপভোগ করতে শুরু করবেন। মোবাইলের দোকানে সুন্দর নাম গুলো সংগ্রহ করার জন্য চোখ রাখুন আমাদের পোস্টগুলোতে। এছাড়াও যে কোন সমস্যার লক্ষ্য করলে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাতে পারেন।