এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নামের তালিকা দেখার নিয়ম

বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষণ শিক্ষক কর্মচারী যারা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করে থাকেন। এই বেসরকারি শিক্ষকগণের মধ্যে আবার রয়েছে এমপিও ভুক্ত শিক্ষক কর্মচারী এবং নন এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীগণ। যে শিক্ষক গণ এমপিও ভুক্ত অর্থাৎ মাউশি প্রত্যেক তালিকাভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীকে বোঝানো হয়ে থাকে। মাউশি অর্থাৎ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। এমপিও ভুক্ত শিক্ষকগণকে সরকার কর্ত ৃক শুধুমাত্র মূল বেতনের অংশ দেওয়া হয়ে থাকে।

বাড়ি ভাড়া বাবদ দেওয়া হয় প্রধান শিক্ষক থেকে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী সকলকেই এক হাজার টাকা এবং চিকিৎসা বাবদ দেওয়া হয় ৫০০ টাকা করে। তাই এই স্বল্প বেতনে দুর্মূল্যের বাজারে আসলেই এমপিও শিক্ষকগণ অনেক কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করতে হয়। কারণ একজন শিক্ষকের সর্বসাকুল্যে যে বেতন পেয়ে থাকেন তা অতি নগণ্য। বাংলাদেশের যেকোনো সরকারি অফিসের একজন পিয়ন যে টাকা উত্তোলন করে প্রতি মাসে আমাদের বাংলাদেশেরই বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ওই পরিমাণ টাকা বেতন ভাতাদি বাবোদ পায় না। আর এই কারণে এমপিওভক্ত শিক্ষক কর্মচারী সকলেই মানবতার জীবনযাপন করে আসছে দীর্ঘদিন যাবত। কহিট ১৯ এর দোহাই দিয়ে এবং রাশিয়া ইউ ক্যান যুদ্ধের দোহাই দিয়ে ২০২২ ৩ সালে যে হারে প্রতিটি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে তাদের জীবনের বারোটা বেজে গেছে।

অর্থাৎ একজন শিক্ষক যে টাকা বেতন ভাতা দিয়ে থাকে তাতে তাদের সংসারের খুব বেশি হলে 15 দিন অতিবাহিত করাতে পারে। বাকি ১৫ দিন তাদের একেবারে মানবতার জীবন যাপন করে থাকেন। এটি বা এই ধরনের কাহিনী হয়তো সরকার বাহাদুরের কাছে কেউ পৌঁছায় না বা পৌঁছালেও সরকার এ বিষয়ে তেমন কোন গুরুত্ব দেয় না। তাই যে জাতির শিক্ষকদের এই অবস্থা সে জাতি কোনদিন উন্নত হতে পারে না।

আর এই কারণে আমরা দেখে আসছি বাংলাদেশ অবশ্যই আস্তে আস্তে জ্ঞান-গুরিমায় নিচের দিকে যাচ্ছে। এবং এর প্রমাণ হিসেবে আপনারা দেখতে পারেন সমাজের অস্থিরতা মূর্খতা দিন দিন কি হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবং এরকম ভাবে যদি বাংলাদেশ নিচের দিকে যেতে থাকে তাহলে বিশ্বের যে দেশগুলো নিম্নমুখী তাদের সাথে আমরা এক কাতারে দাঁড়াবো হয়তো অল্প কিছুদিনের মধ্যেই। কারণ আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় দেখেছি যে শিক্ষকদের ফাঁকি দিয়ে কখনোই দেশের উন্নত শিক্ষায় শিক্ষিত করানো যায় না এবং শিক্ষা যেহেতু যাদের মেরুদন্ড তাই কখনো শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি উঠে দাঁড়াতে পারবে না।

তারপরেও প্রায় সমস্ত মাধ্যমিক শিক্ষা তা যেহেতু বেসরকারি শিক্ষকদের হাতেই নষ্ট তারপরেও সরকার বাহাদুর কখনোই এই বেসরকারি শিক্ষকদের ওপর নজর দেয়নি। তাই বিশ্বের যে কোন দেশ অত্যন্ত উন্নতি লাভ করলেও আমারে বাংলাদেশ হয়তো মুখে অথবা কাগজ-কলমে অনেক দূর এগিয়েছে কিন্তু বাস্তবে তেমন কিছু আমরা দেখতে পাই না। তাই আমাদের দেশের সকলের উচিত হবে শিক্ষকদের সম্মান করা এবং এই বেসরকারি শিক্ষকদের জীবনমান উন্নত করা।

তাতে দেশ উপকৃত হবে জাতীয় উপকৃত হবে জাতি অবশ্যই সামনের দিকে তারতর করে এগিয়ে চলবে। তো যাই হোক এতে শুনলেন আপনারা বেসরকারি এমপি ভুক্ত শিক্ষকদের কথা। কিন্তু আপনারা এসেছেন এই বেসরকারি অর্থাৎ এমপিওভক্ত শিক্ষকদের তালিকা দেখতে। বাংলাদেশের এই প্রায় সাড়ে 5 লক্ষ শিক্ষক কর্মচারী এমপি ভক্ত রয়েছে এদের তালিকা আপনারা অবশ্যই এখানে দেখে নিতে পারবেন। যে শিক্ষকগুলোর তালিকা বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে রয়েছে সে একই তালিকা আপনারা আমাদের এখান থেকে দেখে নিতে পারবেন।

এবং যদি আপনার নিজের নাম অথবা আপনার যে কোন আত্মীয় স্বজন এর নাম এই শিক্ষক তালিকায় বা শিক্ষক কর্মচারী তালিকায় থেকে থাকে তা অবশ্যই পেয়ে যাবেন। তাই আপনারা আর দেরি না করেন এই তালিকাটি অবশ্যই দেখতে থাকবেন। তবে এই তালিকা গুলো আপনারা বিভাগে এসে অঞ্চল ভিত্তিক দেখতে দেখতে অবশ্যই আপনার জেলা এবং থানার অর্থাৎ উপজেলার নাম দিতে হবে তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার কাঙ্খিত নামটি পেয়ে যাবেন এখান থেকে।