সমিতির নামের তালিকা

সমিতির নামের তালিকা

সমিতির নামের তালিকা খুঁজে পাওয়া মোটেও সহজ কোনো কাজ নয়। আমরা হয়তো আলাদা আলাদা ভাবে অনেক সমিতির নাম দেখতে পাই কিন্তু সব সমিতির নাম গুলো একসাথে তালিকা আকারে কোথাও খুঁজে পাই না। সমিতির নামের তালিকা একসাথে খুঁজে পাওয়ার জন্য কি করা উচিত এবং সমিতির নামের তালিকা কেন খুঁজে বের করতে হবে এ বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করব আমাদের আজকের লেখার মধ্যে। এর আগে আমার একটা প্রশ্ন আছে। আপনি কি কোন সমিতির সাথে জড়িত আছেন? যদি আপনি কোন সমিতির সাথে জড়িত থাকেন তবে বিষয়টি খুবই ভালো কারণ আপনি এই সমিতি থেকে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

অপরদিকে আপনি যদি কোন সমিতির সাথে যুক্ত না থাকেন তবে খুব শীঘ্রই আপনার কোন একটি সমিতির সাথে যুক্ত হওয়া উচিত কারণ আপনি সমিতি থেকে যেসব সুযোগগুলো লাভ করতে পারতেন তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এর আগে আমাদের জেনে নেওয়া উচিত সমিতি বলতে আসলে সবাই কি বোঝায়। আমাদের আশেপাশে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা সব সময় নিজেদের কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকে। কাজের পাশাপাশি তারা কখনোই নিজের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় পায়না। তবে কাজের ব্যস্ততার মাঝেও আমাদের সুযোগ তৈরি করে নিতে হবে যেন আমরা একটু হলেও নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে পারি।

অনেকে হয়তো জানেই না কিভাবে নিজের জীবনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। আপনারা যারা এ বিষয়ে বিন্দুমাত্র কোন ধারণা রাখেন না তাদের জন্যই আমরা সব সময় গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য সহকারে কার্যকরী লেখা দেওয়ার চেষ্টা করি। যারা প্রথম থেকে আমাদের আর্টিকেলগুলো নিয়মিত পড়ে আসছেন তারা নিশ্চয়ই জানেন আমরা কতটা পরিশ্রম করে তথ্যগুলো সংগ্রহ করার পর সেগুলো সাজিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করি। আশা করি আজকেও তার ব্যতিক্রম হবে না। আমরা আজকেও বেশ কিছু ইন্টারেস্টিং বিষয় আপনাদের সামনে তুলে ধরব।

দেখুন আমরা সারাদিন এই যে কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকি এর প্রধান কারণ হলো আমরা যেন নিজেদের জীবনের চাহিদা গুলো পূরণ করতে পারি। শুধুমাত্র এই চাহিদাগুলো পূরণ করার জন্যই দিনরাত গাধার মতো খাটুনি খাটতে হয়। এর মাঝে তো সংসারের ঝামেলা, অফিসের নানান ঝামেলা, বসের বকুনি এগুলো আছেই। এইসব ঝামেলাগুলো একসাথে মাথায় নিয়ে একজন মানুষের পক্ষে টিকে থাকা খুবই কঠিন। এরপরও দিনের পর দিন রোবটের মত টিকে থাকতে হয়। দিনরাত সমস্যার সমাধান করতে করতে মানুষ নিজেদের সময়গুলো উপভোগ করতে পারে না ঠিকমত। এছাড়াও ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে চিন্তা করার মত বিন্দুমাত্র সময়ও খুঁজে পাওয়া যায় না।

অনেকে আবার বলে থাকেন ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করে লাভ কি হবে। আমি তো জীবনের চাহিদাগুলো মেটানোর জন্যই কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু আপনাকে মনে রাখতে হবে সব সময় মানুষের শরীরে একরকম শক্তি থাকে না। যৌবনে আপনি যতটা পরিশ্রম করতে পারছেন শেষ বয়সে আপনি এমন পরিশ্রম করতে পারবেন না। এখন যেভাবে টাকায় করতে পারছেন শেষ বয়সে এতটা টাকা আয় করা আপনার পক্ষে সম্ভব হবে না। তাই ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবার সময় এখনই।

এখন যা আয় করছেন তা নিজের সংসারের পেছনে খরচ করতে করতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে, ভবিষ্যতের জন্য একটি টাকাও সঞ্চয় করতে পারছেন না। সঞ্চয় না করার কারণে শেষ সময় আপনার হাতে তেমন কোন অর্থ থাকবে না নিজের চাহিদা মেটানোর মত। সে সময় হয়তো সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে ছোটখাটো খরচগুলো করার জন্য। এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন শেষ বয়সের জন্য সঞ্চয় করাটা কতটা জরুরি। শুধুমাত্র শেষ বয়সের জন্যই না, নিজের সন্তানের কথা ভেবেও সঞ্চয় করা শুরু করতে পারেন।

আপনারা হয়তো ভাবতে পারেন এ বিষয়গুলো আপনি আলোচনা করার কারণ কি। হ্যাঁ, আলোচনা করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। আমরা মূলত আজকে সমিতির তালিকা নিয়েই কথা বলব। কিন্তু সমিতির তালিকা নিয়ে কথা বলার আগে কেন আপনি সমিতির নামগুলো জেনে নিবেন তা জানা দরকার। সমিতি মানেই হয়তো আমাদের দেশের একশ্রেণীর মানুষ মনে করে টাকা পয়সা জমানোর প্রতিষ্ঠান। তবে এই কনসেপ্টের বাইরেও সমিতির অনেক অর্থ রয়েছে। সমিতি বলতে আমরা এমন একটি প্রতিষ্ঠানকে বুঝি যেখানে একাধিক ব্যক্তি পারস্পরিক সহযোগিতার লক্ষ্যে একসাথে কাজ করে। অর্থাৎ সমিতির প্রতিটি সদস্যের লক্ষ্য একটি থাকে।

তারা পরস্পরকে সহযোগিতা করার জন্যই মূলত কাজ করে। একটি সমিতির লক্ষ্য হতে পারে অর্থনৈতিকভাবে সকল সদস্যকে সহযোগিতা করা, একটি সমিতির লক্ষ্য হতে পারে প্রতিটি সদস্যকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া অথবা আরো অনেক লক্ষ্য থাকতে পারে। যেহেতু আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ গরিব তাই তারা শুধুমাত্র অর্থনৈতিক সহযোগিতা লাভের জন্য সমিতির সাথে যুক্ত হয়ে থাকে। আপনি যদি আর্থিকভাবে অসচ্ছল হয়ে থাকেন অথবা সচ্ছল হতে চান তবে যেকোনো সমিতির সাথে যুক্ত হয়ে সহযোগিতা নিতে পারেন।

তবে এক্ষেত্রে আপনি নিজে সহযোগিতা নিবেন এমন মানসিকতা থাকলে হবে না, আপনি নিজে যেমন সহযোগিতা নিবেন ঠিক একইভাবে সমিতির অন্য সদস্যদেরও সাহায্য করতে হবে। অর্থাৎ একটি সমিতির সকল সদস্যরা একসাথে কাজ করবে এবং তাদের কাছ থেকে পাওয়া মুনাফা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেবে সাধারণভাবে আমরা এমনটাই বুঝে থাকি।

গ্রামের দিকে আপনি অনেক সমিতি দেখতে পাবেন যেখানকার প্রতিটি সদস্য নির্দিষ্ট সময় পর পর নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা দেয় এবং এই টাকা দিয়ে তারা কোন লাভজনক ব্যবসা শুরু করে। ব্যবসা থেকে পাওয়া লাভের অংশ নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়। এভাবে সমিতির সকল সদস্য আস্তে আস্তে স্বাবলম্বী হতে পারে। ধরুন আপনার কাছে 500 টাকা আছে, ৫০০ টাকা দিয়ে নিশ্চয়ই আপনি একটি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন না। কিন্তু যদি দশ জন মানুষ 500 করে টাকা দেয় তাহলে পাঁচ হাজার টাকা হয়ে যায়।

৫০০০ টাকা দিয়ে একটি ব্যবসা শুরু করা সম্ভব অথবা অন্য কোন ব্যবসায় বিনিয়োগ করা সম্ভব। আবার এ ব্যবসা থেকে পাওয়া লাভের অংশ আপনি দশ জনের মধ্যে সমানভাগে ভাগ করে দিতে পারবেন। এতে কম বিনিয়োগে আপনি কিছু টাকা আয় করতে পারবেন। এটি হচ্ছে একদম সাধারণ কনসেপ্ট। এর থেকে অনেক বেশি অর্থ দিয়েও আপনারা সমিতি শুরু করতে পারবেন। তবে সমিতির সকল সদস্যকে সততার সাথে কাজ করতে হবে। এখন অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন যে এই সমিতির সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য কি কি করতে হয়।

প্রথমত যেকোনো সমিতির সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য আপনাকে তাদের সকল শর্ত মেনে নিতে হবে। ধরুন আপনি যে সমিতিতে যুক্ত হতে চলেছেন তারা প্রতি মাসে আপনার কাছ থেকে নির্দিষ্ট অংকের একটি অর্থ দাবি করছে যা সমিতির ফান্ডে জমা থাকবে। এমন হলে প্রতি মাসে আপনাকে সেই পরিমাণ অর্থ সমিতির কাছে জমা দিতে হবে। আপনি যদি সে অর্থ সঠিক সময়ের মধ্যে জমা দিতে না পারেন তবে সমিতির নিয়ম অনুযায়ী জরিমানা দিতে হতে পারে অথবা আপনার সদস্য পদ বাতিল হতে পারে। এভাবেই একটি সমিতি চালানো হয়। আপনি যদি খুব সহজে নিজের অবস্থার পরিবর্তন করতে চান এবং আপনার মত অন্য মানুষদেরও সাহায্য করতে চান তবে যেকোনো একটি সমিতির সাথে যুক্ত হতে পারেন।

যারা সমিতি সম্বন্ধে জানতেন না এবং সমিতির নামের তালিকা কিভাবে সংগ্রহ করা যায় সে বিষয়ে কোনো ধারণা ছিল না তারা আমাদের আজকের পোস্টে ভিজিট করে বুদ্ধিমানের কাজ করেছেন। আশা করি খুব শীঘ্রই আমরা সমিতির নামের তালিকা অন্য একটি পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের জন্য প্রকাশ করতে পারব। সে পর্যন্ত আপনারা আমাদের সাপোর্ট করে যাবেন। আপনার নিশ্চয় জানেন এই কাজগুলো করা মোটেও সহজ নয় এবং অনেক সময় ধরে করতে হয়। সঠিক তথ্য না দিলে শেষ পর্যায়ে আপনার অসন্তুষ্ট হতে পারেন তাই আমরা সবসময় দেরি করে হলেও সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করি।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *