স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নামের তালিকা

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নামের তালিকা

স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যারা কাজ করতে চাইছেন তারা নিশ্চয়ই আশেপাশের কোন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আপনি যদি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে চান তাহলে আমাদের এই পোস্টে শেষ পর্যন্ত পড়ে ফেলতে পারেন কারণ আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানিয়ে দেবো কিভাবে আপনি একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ শুরু করতে পারেন এবং স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ শুরু করতে গেলে কোন ধরনের সংগঠনের সাথে যুক্ত হতে হবে। আমাদের আশেপাশে এমন অনেক সংগঠন আছে যারা স্বেচ্ছায় অনেক মানুষের সাহায্য করে থাকে। কোন ধরনের কাজে এসব সংগঠনগুলো সাহায্য করে থাকে তা জেনেই স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ শুরু করা উচিত।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো মূলত এমন কিছু কাজ করে থাকে যা দ্বারা সমাজের পরিবর্তন করা সম্ভব। যেমন পরিবেশ দূষণ রোধ করা, বৃক্ষরোপণ করা, অসহায় ও পিছিয়ে থাকা মানুষদের সাহায্য করা, বন্যা দুর্গতদের সাহায্য করা, দুর্যোগে বিপর্যস্ত মানুষদের কাছে ত্রাণ পৌঁছানোর মত গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো করে থাকে। কেউ যদি এই সব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সাথে যুক্ত হতে চান তবে সব ধরনের কাজ করার মত মানসিকতা থাকতে হবে। সব সময় মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়ার মত ইচ্ছা থাকতে হবে। আপনি যদি খুব ব্যস্ত একজন মানুষ হয়ে থাকেন তবে এ কাজে না আসা ভালো হবে। এ কাজগুলো করার জন্য হাতে যথেষ্ট সময় থাকতে হয়।

আমাদের দেশে একশ্রেণীর মানুষ আছে যারা অনেক পিছিয়ে আছে। সুযোগ না পাওয়া পর্যন্ত এই মানুষগুলো কখনোই সামনে এগিয়ে আসতে পারবে না। সামনে এগিয়ে আসার জন্য সব ধরনের মৌলিক অধিকারগুলো থেকে তারা যেন বঞ্চিত না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। প্রথমত তাদের খাবারের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশে এখনো কিছু মানুষ আছে যারা সারাদিন পেট পুরে খেতে পারে না। যে মানুষগুলো তিনবেলা পেট করে খেতে পারে না তারা শিক্ষা গ্রহণের প্রতি কখনোই আগ্রহী হয় না। এই মানুষগুলোকে শিক্ষা গ্রহণের প্রতি আগ্রহী করে তোলা আমাদের সমাজের প্রতিটি মানুষের দায়িত্ব। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো এই দায়িত্ব পালন করে থাকে।

1. আলোকিত মানবিক অর্গানাইজেশন

শ্লোগান:
” আলোকিত মানুষ চাই ”
”আলোকিত সমাজ চাই ”

2. Zoom Bangladesh : অসাধারণ একটি সংগঠন। এটি শিশুদের শিক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে, তাদের খাবারের দায়িত্ব নিয়েছেন, তাদের একটি স্বর্ণালি শৈশব উপহার দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছে। 🖤

3. বন্ধু

4. স্বপ্নচারী

5. নবজাগ্রণ

6. সমতাপথ

7. আঠারো-প্রভা

8. একতাবন্ধন

তারা অসহায় ও পথ শিশুদের খাবারের ব্যবস্থা করে দেয় এবং তারা যেন লেখাপড়া করতে পারে সে সুযোগ তৈরি করে দেয়। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল পরিবেশ দূষণ রোধ করা। পরিবেশ দূষণ বলতে আমরা বায়ু দূষণ পানি দূষণ শব্দ দূষণ ইত্যাদি বুঝে থাকি। সবকিছুর আগে যদি আমরা বায়ু দূষণ নিয়ে কথা বলি তবে দেখা যায় আমাদের দেশে এত বেশি কল কারখানা বেড়ে গেছে যেখানে প্রতিনিয়ত বিষাক্ত ধোঁয়া নির্গত হচ্ছে। বিষাক্ত ধোঁয়া আশেপাশের বায়ুর সাথে মিশে বায়ুমণ্ডলের অনেক ক্ষতি করছে। বায়ু মানুষের জন্য কত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান তা আমরা সকলেই জানি। মানুষ প্রতিনিয়ত অক্সিজেন গ্রহণ করে বেঁচে থাকে। বায়ুতে যদি কার্বন-ডাই-অক্সাইড অথবা অন্যান্য ক্ষতিকর গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে যায় তবে সেটা আমাদের জন্য অমঙ্গলজনক।

পানির অপর নাম জীবন, ছোটবেলা থেকেই এ কথাটি আমরা শুনে আসছি। পানি ছাড়া আমরা দৈনন্দিন জীবনের কোন কাজ সঠিকভাবে করতে পারি না। নিয়মিত পানি পান করা থেকে গোসল করা, কাপড় ধোয়া, রান্না করার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো পানি দিয়েই করতে হয়। গুরুত্বপূর্ণ এই কাজগুলো করতে বিশুদ্ধ পানি প্রয়োজন। বিশুদ্ধ পানি পান না করলে কলেরা ও ডায়রিয়ার মত কঠিন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও নদীর মধ্যে ময়লা আবর্জনা ফেললে নদীর পানি দূষিত হয়। নদী তার সৌন্দর্য হারায়।

পানি দূষণের পেছনে আমাদের অনেক বড় দায় আছে। আমরা যদি আরেকটি সতর্ক হয়ে কাজ করি তবে পানি দূষণ রোধ করা সম্ভব। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো পানি দূষণ প্রতিরোধে কাজ করে। তারা জনসচেতনতা সৃষ্টি করে। কিভাবে কাজ করলে পানি দূষণ হবে না সে বিষয়গুলো মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করে। পৃথিবীকে বাসযোগ্য রাখতে গেলে পরিবেশ দূষণ রোধ করা জরুরী। সময় থাকতে যদি আমরা পরিবেশ দূষণ রোধ করতে না পারি তবে এক সময় পৃথিবী বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে। চলুন এবার দেখে আসি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে বঙ্গোপসাগর থাকায় বেশিরভাগ সময় সেখানে নানা ধরনের ঘূর্ণিঝড় আঘাত করে। ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে প্রতিবছরে অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘূর্ণিঝড় আসার পূর্বে স্থানীয় মানুষগুলোর মাঝে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা এবং তাদেরকে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে সাহায্য করার কাজ গুলো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে করতে হয়। ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে যে মানুষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাদের পাশে থেকে সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করতে হয়। এ সময় অর্থনৈতিকভাবে এবং কায়িক পরিশ্রম করে অসহায় মানুষগুলোকে পুনরায় উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করে সংগঠনগুলো। শুধুমাত্র ঘূর্ণিঝড়ই নয়, বাংলাদেশের প্রতিবছরই বন্যায় ভেসে যায় বেশ কিছু এলাকা।

বন্যায় ভেসে যাওয়া এই এলাকার মানুষগুলো ব্যাপক কষ্টে দিন যাপন করে। বন্যার সময় ত্রাণ সামগ্রী সঠিক সময় পৌঁছে দেওয়া, বন্যা দুর্গতদের পাশে সব সময় থাকতে হয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে। এ কাজগুলো সাধারণত নিজের ইচ্ছাতেই করতে হয়। বাংলাদেশে এমন অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রয়েছে যারা যেকোনো দুর্যোগের শুরু থেকেই ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। আপনি যদি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে চান তবে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর নামের তালিকা পাশাপাশি এই সংগঠনগুলোর মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে নেওয়া উচিত।

এমন কোন সংগঠনের সাথে যুক্ত হতে হবে যেখানে সবার সাথে মজা করে কাজ করা যাবে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সাথে কাজ করতে চাইলে একদম নিঃস্বার্থভাবে কাজ শুরু করতে হবে। তাই পরিশ্রম করার পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবেও সংগঠনগুলোকে সমর্থন দেবার চেষ্টা করতে হবে। পরিশ্রম করার মত মানসিকতা যদি না থাকে তবে শুধুমাত্র অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করেও আপনি সংগঠন করে পাশে থাকতে পারবেন। তবে অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করার আগে সংগঠনগুলোর কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা রাখা দরকার।

প্রতিটি জেলাতেই বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রয়েছে যেখানে দেশের বড় বড় কিছু ব্যবসায়ী ডোনেট করে থাকেন। একটু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন চালাতে গেলে টাকা-পয়সার পাশাপাশি দক্ষ কর্মী প্রয়োজন। দক্ষ ও পরিশ্রমী কর্মী না থাকলে সংগঠন টিকিয়ে রাখা যাবে না। যেকোনো সময় যেকোনো পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে থাকার মতো মানসিকতা থাকতে হবে এবং সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে। চলুন এবার দেখে আসি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর নামের তালিকা সংগ্রহ করার উপায় কি কি রয়েছে। বর্তমান সময়ের তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে খুব সহজেই যে কোন তথ্য খুব সহজেই সংগ্রহ করে নেওয়া যায়।

আপনি যদি কোন নামের তালিকা খুঁজে পেতে চান তবে ইন্টারনেট কানেকশনের মাধ্যমে খুব সহজেই ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। ডাউনলোড করে নেওয়ার জন্য আপনাকে যুক্ত হতে হবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাথে। ফেসবুক ইমো অথবা হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা ইউটিউব এর মাধ্যমে এই তথ্যগুলো খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সংগ্রহ করে নিজের কাছে রাখতে পারবেন। নিজের কাছে রাখার পাশাপাশি যদি কারো সাথে শেয়ার করার দরকার হয় তবে তৎক্ষণাৎ শেয়ার করতে পারবেন।

তবে এইসব মাধ্যমগুলোর সহযোগিতা নিয়ে যদি তথ্যগুলো সংগ্রহ করা না যায় তবে ভিন্ন উপায় অবলম্বন করতে হবে। আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এটি পূর্বে আমরা বেশ কিছু কার্যকরী তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি যা আপনারা খুব সহজেই ডাউনলোড করে নিতে পেরেছেন। আগামী পোস্টগুলোতে আমরা এমন কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য যুক্ত করার চেষ্টা করব যেগুলো যেকোনো পরিস্থিতিতে আমাদের সাহায্য করতে পারে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর নামের তালিকা পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। এ বিষয়ে যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে কমেন্ট বক্সে এসে ঝটপট লিখে ফেলুন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *